স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের সোনাপুর বেদে পল্লীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বেদে পল্লীর মুন্সি মিয়া, কালু মিয়া, বেদে সর্দার হাজী আকুল আলী ও মৃত ধলু মিয়ার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত জজ মিয়া (৬০)-কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বেদে পল্লীর মুন্সি মিয়ার কন্যা মালেকা বেগমের সাথে একই গ্রাম প্রতিবেশী জজ মিয়ার পুত্র মিঠুন মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটি নাচ-গান করে গ্রামের লোকজন উদযাপন করছিলেন। এ সময় আশপাশের গ্রাম থেকে কিছু বখাটে অনুষ্ঠানস্থলে আসে এবং নিজ নিজ মোবাইল ফোনে নাচ-গানের দৃশ্য ধারণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মেয়েদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। এ সময় বেদে পল্লীর লোকজন বখাটেদের বাধা দেন। এই বাঁধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে বখাটেরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। বিয়ে অনুষ্ঠান প- করে দিয়ে হামলাকারীরা আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র, ঘর-দরজা ভাংচুর ও জিনিসপত্র লুটপাট করে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বেদে পল্লীর বাসিন্দারা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন জানান, নববধূর স্বর্ণালংকার লুটপাটসহ প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে।
এদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানন কুমার দেবনাথ, এএসপি হেডকোয়ার্টার মো. মিজানুর রহমান, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ওসি অপারেশন সনজুর মোর্শেদ, এসআই জালাল উদ্দিন, সোহেল রানা ও মিজানুর রহমানের যৌথ উদ্যোগে পুলিশ দল অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১৪ জনকে আটক করেছে।
অপরদিকে, হামলার এই ঘটনায় কনের পিতা মুন্সি মিয়া বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
গৌরারং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মমিন মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামের সেজুল মিয়ার পুত্র আমির হোসেন ও জজ মিয়ার পুত্র আলমের নেতৃত্বে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।