ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলা সদরের জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়–য়া আলম মিয়া (১৫) নামের এক ছাত্রকে একই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী কলম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নবম শ্রেণির কক্ষের সামনের বারান্দায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দশধরী গ্রামের আব্দুল মোতালিবের পুত্র আলম মিয়া গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নিজ শ্রেণি কক্ষের সামনের বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের ৮/১০জন শিক্ষার্থী আলম মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে থাকা কলম দিয়ে আলম মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সেখানে ফেলে রেখে তারা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক আহত ওই ছাত্রকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আহত ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই সামছুল আলম বলেন, আমার ছোট ভাই আলম মিয়া নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির। তার ওপর যারা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক খান বলেন, কী কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জিএম হায়দারকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগীর কবীর বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। হামলাকারী শিক্ষার্থীদের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে নামগুলো প্রকাশ করা এখন সম্ভব হচ্ছে না। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মপাশা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।