তাহিরপর প্রতিনিধি ::
পূর্ববিরোধের জের ধরে তাহিরপুরে এক নারীকে রামদা দিয়ে কোপিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোশারফ মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মৃত বশির মিয়ার পুত্র।
গুরুতর আহত গৃহবধূ কুলসুমা বেগম (৪০) বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে, আহত কুলসুমা বেগমের পুত্র পাভেল মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের স্ত্রী কুলসুমা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী উস্তার আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম ও মৃত বশির মিয়ার স্ত্রী তুলার মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। মহিলাদের এ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বশির মিয়ার পুত্র মোশারফ (৩০) প্রতিবেশী কুলসুমা বেগমের বসতঘরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় দু’জনের বাকবিত-া হয় ও এক পর্যায়ে মোশারফ উত্তেজিত হয়ে রামদা দিয়ে কুলসুমা বেগমের মাথায় কোপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করে।
অপরদিকে আহত কুলসুমা বেগমকে তাৎক্ষণিক তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মির্জা রিয়াদ হাসান তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।