সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আজ শুক্রবার ১০ মহররম। পবিত্র আশুরা। হিজরি সাল অনুসারে ১০ মহররম কারবালায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর দিন এটি। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে দিবসটি পালন করেন। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় আশুরা।
প্রথমত মহররম মাসটি একটি সম্মানিত মাস। দ্বিতীয়ত এ মাসে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ কিছু কাজকে হারাম ঘোষণা করেছেন। কুরআনুল কারিমের যে ৪টি মাসকে হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ মাসে যুদ্ধ-মারামারি নিষেধ করেছেন।
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মহররম মাসটি ঐতিহাসিক কারণে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আর উম্মতে মুসলিমার কাছে দু’টি কারণে এ মাসটি মর্যাদার। অনেক বড় বড় ঐতিহাসিক ঘটনা বিজড়িত।
প্রথমটি হলো- প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় হিজরত করলেন, তখন দেখলেন সেখানকার ইয়াহুদিরা মহররমের ১০ তারিখ রোজা পালন করছেন। প্রিয়নবী জানতে চাইলেন তারা এ দিনে কেন রোজা পালন করে। এ প্রসঙ্গে তারা জানাল যে, মহররমের ১০ তারিখ আল্লাহ তাআলা জালেম শাসক ফেরাউনের কবল থেকে হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে হেফাজত করেছিলেন। আর ফেরউনসহ তার দলবলকে নদীতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
দ্বিতীয়টি হলো- বিশেষ করে আজ থেকে ১ হাজার ৩৭৯ বছর পূর্বে ৬১ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুফা যাওয়ার পথে কারবালার ঐতিহাসিক প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন। এ জন্য মুসলিম উম্মাহর নিকট এ দিনটি অত্যন্ত শোকের মাস হিসেবে পরিগণিত।
হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পরিবার এবং সঙ্গীগণসহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানসে কুফায় গমনের পথে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাবাদ বরণ করেন। এ ঘটনার স্মরণে মুসলিম উম্মাহ এ দিনটি যথাযথ মর্যাদায় ইবাদাত-বন্দেগি ও রোজা পালনের মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।