স্টাফ রিপোর্টার ::
আগামী নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দিতে বিভিন্ন ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে এখন পর্যন্ত এ আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট দীপক চৌধুরী।
দীপক চৌধুরীর সমর্থকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে এই আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণ বুদ্ধিদীপ্ত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক দীপক চৌধুরীই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন। সুপরিচিত কলামিস্ট ও লেখক-সাংবাদিক হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কাছের মানুষ তিনি। ¯পষ্টবাদী, সৎ ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবেও পরিচিত দীপক চৌধুরী রচনা করেছেন প্রায় ২০টি গ্রন্থ। ১৯৯১ থেকে জাতীয় পত্রিকায় একটানা চার বছর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বিখ্যাত কলাম ‘প্রধানমন্ত্রী বেয়াদবি মাফ করবেন’। এটি অত্যন্ত আলোড়িত ও জনপ্রিয় কলাম ছিল সেই সময়। পরবর্তীকালে ১৯৯৪ সালে ঢাকায় একুশে বইমেলায় ‘প্রধানমন্ত্রী, বেয়াদবি মাফ করবেন’ কলামটি গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বহু সভা-সমাবেশ ‘কভার’ করা, সু¯পষ্ট মতামত দিয়ে কলাম লেখার কারণে তিনি এইচ এম এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার সরকার আমলে নানামুখী সংকট ও প্রাণহারানোর মুখোমুখি হন। তবে আপসহীন সাংবাদিক দীপক চৌধুরী স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার ও বিএনপি-জামায়াতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তাঁর রচিত ‘দিনবদলে শেখ হাসিনা’ ও ‘কেন টার্গেট শেখ হাসিনা’ গ্রন্থ দুটি একুশের বই মেলায় ঝড় তুলেছে।
রাজনীতি সচেতন মানুষ ও নির্ভীক সাংবাদিক দীপক চৌধুরী ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে উপনির্বাচনে দিরাই-শাল্লায় আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশেষ কারণে তিনি শেষপর্যন্ত ড. জয়া সেনগুপ্তার নৌকার পক্ষে উপনির্বাচনে কাজ করেছেন।
সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক দীপক চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে তিনি অতীতে সবসময় জীবন-বাজি রেখে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লেখনীর মাধ্যমে দুর্বার গতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি। শাসকদল থেকে নানারকম অর্থ-বিত্ত দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। লোভ-লালসাকে প্রত্যাখ্যান করার পর মৃত্যুরভীতি দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমি নীতির সঙ্গে আপস করিনি।
দিরাই-শাল্লার তৃণমূলের মানুষদের চিন্তা-চেতনা ও সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে দীপক চৌধুরী বলেন, আমি এলাকার বর্ষা মওসুমের ভয়ংকর চিত্র নিজের চোখে দেখেছি। যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখেছি। দিরাই-শাল্লার কালিয়াকুটা হাওর, বরাম হাওর, টাংনির হাওর বা ছায়ার হাওর, ভান্ডারবিল পারের মানুষের জীবনযাত্রা ঝুঁকির মুখে। নতুনমুখকে এমপি বানিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠাতে চান সহজ-সরল মানুষেরা। তাদের ধারণা এই এলাকায় নৌকাপ্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে হলে যোগ্যপ্রার্থী দিতে হবে। আমি সুনামগঞ্জ-২ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলাকার জনগণের সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।