1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পল্লী বিদ্যুতের ‘ভূতুড়ে’ বিল : গ্রাহকদের বিক্ষোভ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


স্টাফ রিপোর্টার ::

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুড়ে বিল সংশোধন করে প্রকৃত বিল গ্রাহকদের প্রদানের জন্য সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের ভুক্তভোগীদের নিয়ে বিক্ষোভ করে মোহনপুর যুবকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা বিল সংশোধন করে দেওয়ার লিখিত আবেদন জানান। অস্বাভাবিক বিল সংশোধন করে না দিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের তরুণরা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোহনপুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গত জুলাই মাসে এলাকার সকল গ্রাহককে ৩-৪ গুণ বেশি বিল দেওয়া হয়। এই অস্বাভাবিক বিল পেয়ে গ্রামের কোন গ্রাহকই যথাসময়ে বিল পরিশোধ করেননি। সম্প্রতি গ্রামবাসী পল্লীবিদ্যুতের এমন অস্বাভাবিক বিলের প্রতিবাদে বৈঠক ডেকে লিখিতভাবে বিল সংশোধন করে দেওয়ার জন্য পল্লীবিদ্যুৎকে লিখিত আবেদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গ্রামবাসীর ডাকে এগিয়ে আসে গ্রামের তরুণদের সংগঠন মোহনপুর যুবকল্যাণ পরিষদ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুটি নৌকা করে প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাহক সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন গ্রামের যুবকেরা। নৌকা থেকে নেমে বিক্ষোভ করে তারা কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়ে অবিলম্বে বিল সংশোধন করার আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুছন আলী, আব্দুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, কাজী সায়েম, গোলাম হুসেন, সাইদুর রহমান প্রমুখ।
গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক রইমুদ্দিন জানান, প্রতি মাসে তার ২২০-২৫০ টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিল আসে। কিন্তু গত জুলাই মাসে ৭৯৫ টাকা বিল এসেছে। একই গ্রামের গ্রাহক ওয়ারিশ উদ্দিন বলেন, তার চারগুণ বিল বেশি এসেছে। পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার ঘটনাস্থলে না গিয়েই মনগড়া বিল করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মোহনপুর যুবকল্যাণ পরিষদের সদস্য শামছুজ্জামান সায়েম বলেন, আমাদের এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গত জুলাই মাসে সব গ্রাহকেরই প্রায় চার থেকে পাচগুণ বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই এই অস্বাভাবিক বিল দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংগঠন থেকে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের নিয়ে মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে এসে লিখিত আবেদন দিয়ে অবিলম্বে ভূতুড়ে বিল সংশোধন করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। গ্রাম থেকে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ এসে লিখিত আবেদন করে বিল সংশোধন করে দেওয়ার দাবি জানান।
পল্লী বিদ্যুতের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সবখানের গ্রাহকদেরই বিল একটু বেশি আসছে। কারণ এখন কোন লোডশেডিং নেই। গ্রাহকরা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। তবে মোহনপুর গ্রামের গ্রাহকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com