1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় : উঁকুন বেছে না দিলে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন শিক্ষিকা!

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


স্টাফ রিপোর্টার ::

শাল্লা উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে চুলের উঁকুন তুলেন এক সহকারি শিক্ষিকা। বিদ্যালয়টির খোদ প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, মাথায় বিলি ও উঁকুন না বেছে দিলে ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। তাছাড়া ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অসদাচারণের অভিযোগও উঠেছে।
সম্প্রতি অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফিতা রাণী দাসের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন কান্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা অভিভাবক তাজুল ইসলাম। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন- গত ২৪ জুলাই বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে স্কুল শিক্ষিকা ফিতা রাণী দাস আমার মেয়ে রিতা মণিকে বিনাকারণে গলাটিপে ধরেন। এক পর্যায়ে তাকে উপর দিকে টাঙিয়ে রাখেন। তার চিৎকারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় এবং অভিভাবকদেরকে ডাকাডাকি করে। কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনার বিষয়ে অবগত করে। প্রধান শিক্ষক সহকারি শিক্ষক ফিতা রাণী দাসকে ডেকে এনে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তাকেও তিনি অশ্লীল ভাষায় বকাবকি শুরু করেন। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি তা সমাধান করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সহকারি শিক্ষক ফিতা রাণী দাস সভাপতির সাথেও অসদাচারণ করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই শিক্ষিকা ৫ম শ্রেণির ছাত্রী অরুণা আক্তারকেও বিনাদোষে মারধর করেন।
এ ব্যাপারে কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানন বালা সরকার বলেন, এ বিষয়ে অভিভাবক তাজুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গত ৭ আগস্ট জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ স্কুল পরিদর্শন করে গেছেন। শিক্ষিকা ফিতা রাণী কারো কথা শুনেন না। গত ৭ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিতা রাণী দাস স্কুলে আসেননি। তিনি যে স্কুলে আর আসবেন না একথা জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদকে বলেছেন। ১৬৯জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা দু’জন শিক্ষক পাঠদান চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন- ফিতা রাণী দাসকে মাথায় বিলি ও উঁকুন না আনলে তাদেরকে মারধর করেন তিনি। আমরা তাকে নিয়ে বিপদে আছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীন মোহম্মদ বলেন, ওই শিক্ষিকা ডিপিও স্যারের ডাকেও আসেননি। পরে স্যার স্কুলে যান। অভিযোগের বিষয়টি ডিপিও তদন্ত করছেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এক মাসেও অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক কাগজপত্র থাকে তো তাই মনে পড়ছে না। অভিযোগটি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা সহকারি প্রাথমিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেছিলেন, তদন্তের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com