স্টাফ রিপোর্টার ::
হেভিওয়েটদের সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইসলাম আলী। শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির পুরাতন ভবন মিলনায়তনে তিনি জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। অ্যাডভোকেট মো. ইসলাম আলী সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন ‘জাল যার জলা তার’ নীতির কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এই হাওরাঞ্চলে জাল যার জলা তার নীতি বাস্তবায়ন করব। নিজেকে হাওরের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের লোক দাবি করে অ্যাডভোকেট মো. ইসলাম আলী বলেন, হাওরাঞ্চলের বড় জনগোষ্ঠীই মৎস্যজীবী ও কৃষক। ভোট ব্যাংকের দিক দিয়েও তারা এগিয়ে। আমি তাদেরই প্রতিনিধি। এই সম্প্রদায় আজীবন অধিকারহারা হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সাধারণ মানুষের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে আমি মনোনয়ন চাই। আমি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করব। তবে অন্য কেউ নৌকার মনোনয়ন পেলে তিনি নির্বাচনে সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান।
অ্যাডভোকেট ইসলাম আলী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিরও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এখন আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দাবিতে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা শেরুল আহমদ।
উল্লেখ্য, এই আসনে আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের পুত্র আজিজুস সামাদ ডন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।