সুনামগঞ্জে নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি নির্মাণ হবে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান দুইটির জন্য দুই পৃথক স্থানে জমি অধিগ্রহণের জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানার জমি ক্রয় করতে খরচ পড়বে ২১ কোটি টাকা। পত্রিকাতে এমন একটি হিসেব দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর মনে করেন, ব্যক্তিমালিকানার জমি কিনে সে জমিতে প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি করা আর সরকারি টাকার অপচয় করার মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। অর্থাৎ তাঁর কথার মর্মার্থ এই দাঁড়ায় যে, সরকারি খাস জমিতে প্রতিষ্ঠান দু’টি তৈরি করলে সরকারের ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয় এবং এর মধ্যে সত্যিকার অর্থেই সরকারের অর্থসাশ্রয়ের বিষয়টি যে বিদ্যমান তাতে কোনও সন্দেহ নেই। যে-কোনও বিবেচনায় বিষয়টি সত্যিকার অথেই অকৃত্রিম। তাই মালেক হুসেন পীর জেলা প্রশাসকের বরাবরে ব্যক্তি মালিকানার জমি অধিগ্রহণ করে সে জমিতে প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি না করে সরকারি খাস জমিতে প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরির জন্য আবেদন করেছেন। প্রথমেই প্রত্যাশা করি, মালেক হুসেন পীরের আবেদনটি যেনো মাঠে মারা না যায়।
মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর সরকারি অর্থ বাঁচানোর জন্য এই আবেদন করেছেন। যদিও আমাদের দেশের অনেকে ‘সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল’ নীতির প্রতি আসক্ত। সরকারের টাকা বেহুদা খরচ হলে তাদের কীছু যায় আসে না। তাঁরা জানেন না যে, সরকারেরর টাকা প্রকারান্তরে জনগণের পকেটেরই টাকা। এই টাকা বেহুদা খরচ হলে প্রকারান্তরে জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হন। অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধার প্রসঙ্গ এখানে প্রাসঙ্গিক করে না তোলে আমরা মনে করি, মালেক হুসেন পীরের এই সরকারি অর্থ অপচয় প্রতিরোধের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর আবেদনে জেলা প্রশাসনের সাড়া দেওয়াই অধিক যুক্তিযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। অন্যথায় আর কীছু প্রতিপন্ন হোক বা না হোক অন্তত সরকারি ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা গেলো না, এই বিষয়টা প্রতিপন্ন হবেই।