1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

একসঙ্গে কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকের চাকরি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বিশেষ প্রতিনিধি ::
অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সহায়তায় তাহিরপুরে সদ্য জাতীয়করণকৃত বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজে প্রভাষকের চাকরি পেয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক। সর্বশেষ গত বুধবার সারাদেশের ১৪টি কলেজ সরকারিকরণের পরদিনই গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি থেকে লিখিতভাবে ইস্তফা দিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সরকারি সকল সুবিধা নিয়েও অনৈতিকভাবে এই দুই শিক্ষক কলেজেও কাগজে-কলমে নিয়মিত চাকরি করেছেন। গত বুধবার কলেজটি সরকারিকরণের পরই তারা গতকাল বৃহস্পতিবার তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এসে চাকরি থেকে লিখিত ইস্তফা দিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের লোকজনের মধ্যেও তুমুল আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, বাদাঘাট ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন মিছবাহ উদ্দিন। কলেজের সামনেই বিদ্যালয়টি অবস্থিত। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সবধরনের সুবিধা নিয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগ পর্যন্ত। একই সঙ্গে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাশকুরা আক্তার ডেইজিও দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। তিনি সরকারি বেতন-ভাতাদিসহ সকল সুবিধা ভোগ করেছেন। জানা গেছে, ২০১৫ সালে সরকার দেশের বিভিন্ন উপজেলার একটি কলেজকে সরকারিকরণের ঘোষণা দিলে বাদাঘাট কলেজটিও সেই তালিকায় ছিল। এই সুযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই দুই শিক্ষক অধ্যক্ষ মো. জুনাব আলী ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে ম্যানেজ করে সরকারের কাছে প্রেরিত চাহিদাপত্রে নিজেদেরকে কলেজের প্রভাষক হিসেবে নাম ঢুকিয়ে দেন। সরকারিকরণের আগে ২০১৬ সালে মন্ত্রণালয়, ডিজি, ডিডিসহ সরকারের প্রতিনিধিরা সরেজমিন এসে কলেজের স্টাফের যে তালিকা নিয়ে যান তাতেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষককে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে দেখিয়ে চূড়ান্ত তালিকায় নাম ওঠান অধ্যক্ষ মো. জুনাব আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ইস্তফা দিয়েছেন এই শিক্ষক।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা হেডকোয়ার্টারের বদলে বাইরের একটি কলেজকে সরকারিকরণের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। নীতিমালা মানলে এটি সরকারি হতে পারেনা। তাছাড়া অনৈতিকভাবে অধ্যক্ষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক দেখিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এখন মওকা বুঝে দুই শিক্ষক প্রভাষক হিসেবে যোগদানও করেছেন।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মিছবাহ উদ্দিন ফোন রিসিভ করেননি। মাশকুরা আক্তার ডেইজি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোনটি বন্ধ করে দেন।
সদ্য সরকারিকৃত বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জুনাব আলী বলেন, এই দুইজন আমার নিয়মিত শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক হিসেবে কাজ করার পরও তারা কিভাবে আপনার নিয়মিত শিক্ষক হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বেশি ক্লাস করতে হয় না। না আসলেও হয়। তবে সরকারি একটি চাকরিতে থেকে সরকারি আরেকটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়টি অনৈতিক কি-না তা জানেন না তিনি।
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু সাঈদ বলেন, দুই শিক্ষক আজ আমার কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। শুনেছি তাদের আরো ভালো সরকারি চাকরি হয়েছে। তবে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিষয়টি আমি জানিনা। এমনটা হয়ে থাকলে এটা অনৈতিক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com