সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত সুসময়, দুঃসময় তথা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। গত কয়েক বছরে এই দুটি দেশের স¤পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। যার ফলস্বরূপ ছিটমহল সমস্যা সমাধানসহ বাণিজ্যিক উন্নয়ন ৭ থেকে ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারে বৃদ্ধি, ভারতীয় বিনিয়োগ ৩ থেকে ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার হয়েছে।
বৃহ¯পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ভারতীয় দূতাবাস ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে ভারত সরকার প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় বৃত্তির চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হর্ষবর্ধন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিম ২০০৬ সাল থেকে চালু হওয়ার পর প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীকে ২১ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে এবং বর্তমানে ভারত সরকার এই প্রোগ্রামের জন্য ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে ভারতীয় সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং ভারতে পাঁচ বছরের জন্য মাল্টি এন্ট্রি ভিসা পাবেন।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুলাউড়া-শাহবাজপুর বিভাগের রেলপথ পুনঃস্থাপন উদ্বোধনের ফলে আসামের করিমগঞ্জ জেলা ও অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়া এ বছর সিলেটে নতুন সহকারী হাইকমিশন অফিস চালু হয়েছে। এ অফিসের ফলে সিলেটের মানুষের জন্য দ্রুত ভিসা প্রদান করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু প্রমুখ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের ২১৬ জন শিক্ষার্থীকে প্রায় ৭৮ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। এ উদ্যোগে গত এক যুগে মোট ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে এ আওতায় ২২ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সহায়তার কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা স্মরণ করে বক্তারা আরো বলেন, তাঁর শক্তিশালী ভূমিকায় দেশ দ্রুত স্বাধীন করা সম্ভব হয়। সেই সাথে স্বাধিকার অর্জনের সমর্থন আদায়ের জন্য দেশে দেশে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইন্দিরা গান্ধীর কাজ করার কথা স্মরণ করেন বক্তারা।