বিশেষ প্রতিনিধি ::
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৪’র চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হয়েছে সোমবার রাতে। এতে সুনামগঞ্জ জেলার ৩২৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফল প্রকাশের পর থেকেই পছন্দের বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য তদবির শুরু হয়ে গেছে। বিব্রতকর তদবিরের কারণে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, নানা জটিলতা শেষে এক দফা তারিখ পিছিয়ে সোমবার রাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকায় চলতি বছরের ২০ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই মাসে শেষ হয় মৌখিক পরীক্ষা। সারাদেশে ৯ হাজার ৭৬৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩২৭ জন।
জানা গেছে, বিভিন্ন স্কুল থেকে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অনেক শিক্ষকের পদায়ন হয়েছে। এ কারণে ওইসব বিদ্যালয়ে পদ খালি হয়েছে। তাছাড়া আগে থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শূন্য পদ রয়েছে। তবে জেলা শহর, উপজেলা শহর, পৌরসভাসহ সুবিধাজনক স্থানে পছন্দের পদায়নের তদবির শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থী ও তাদের স্বজনরা। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের দিয়ে ইতোমধ্যে তদবির শুরু হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক বিষয়ে সচেতনতামূলক মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রসঙ্গক্রমে এই বিষয়টির অবতারণা করেন জেলা শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন বালা। তিনি জানান, গত রাতে ফলাফল প্রকাশের পরই তার মোবাইলে পছন্দের পদায়নের জন্য ফোন আসছে। ফোন রিসিভ করতে করতে তিনি অস্থির। এমন হলে সুষ্ঠু কাজের জন্যই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবে এটা করলেও একটি পক্ষ ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ আনবে। তাই উভয় সংকটে আমরা। তিনি বলেন, শর্ত মেনেই পদায়ন করা হবে। কারো কোন তদবিরে কোন প্রার্থীকে পদায়ন করা হবেনা এবং প্রকৃত কাউকে বঞ্চিতও করা হবেনা। তিনি প্রার্থী ও তাদের স্বজনদের দালাল থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানান।
জানা গেছে, চলতি মাসেই ৩২৭ জনের পদায়ন সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। প্রতিটি উপজেলা থেকে এর মধ্যেই পদায়নযোগ্য বিদ্যালয়ের তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। জানা গেছে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাছ থেকে তাদের পছন্দের তিনটি করে বিদ্যালয়ের নাম নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের দেওয়া নাম থেকেই একটিতে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। নিয়োগ কাজ সম্পন্ন হলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষায় আরো গতি আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন বালা বলেন, নীতিমালা অনুসারেই উত্তীর্ণদের পদায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে বিশেষ সুবিধা বা কাউকে বঞ্চিত করা হবেনা। আমরা এজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।