স্টাফ রিপোর্টার ::
“যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই, এই কথার ভিত্তি নাই” স্লোগানকে সামনে রেখে এবং যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সদস্যবৃন্দের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব), সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
নাটাব জেলা শাখার সভাপতি ধূর্জটি কুমার বসু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত রোগ। একে বলা হয় ছোঁয়াচে রোগ। একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়ায়। তিন সপ্তাহের অধিক কাশি হলে অবশ্যই কাশি পরীক্ষা করাতে হবে। কাশিতে যক্ষ্মারোগ ধরা পড়লে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ব্র্যাকের ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। পূর্ণমাত্রার ওষুধ সেবনে যক্ষ্মারোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কাজেই যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সমাজের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সকলের দায়িত্ব যক্ষ্মারোগ শনাক্তকরণে এগিয়ে আসা এবং রোগীকে যক্ষ্মা হাসপাতালে বা নিকটতম ব্র্যাক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রেরণ করে যক্ষ্মারোগ শনাক্ত করা। এই দায়িত্বটুকু পালন করার জন্য নাটাব সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও কাজ করে যাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিভিল সার্জন এবং জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মোনাওয়ার আলী, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুন নুর ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া।
নাটাব’র সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্যের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. এনামুল হক চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, মো. একলাছুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা হাজী সৈয়দুর রহমান, মো. আব্দুল কাদির প্রমুখ।