সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন-২০১৮ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এই আইনে ১৯ সদস্যের বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে। এর আগে শিশু একাডেমি ১৯৭৬ সালের একটি অধ্যাদেশ অনুসারে চলে আসছিল।’
এর আগে গত ৯ জুলাই বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন-২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, উচ্চ আদালত এবং মন্ত্রিসভার নির্দেশ রয়েছে অধ্যাদেশগুলোকে আইনে পরিণত এবং বাংলায় রূপান্তর করতে হবে। তাই এই আইন অনুমোদন করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রধান দফতর রাজধানী ঢাকায় স্থাপিত হবে। তবে সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশের অন্যান্য বিভাগ এবং জেলাগুলোতেও শিশু একাডেমির অফিস স্থাপন করা যাবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনা ও প্রশাসন সরকার গঠিত বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। ব্যবস্থাপনা বোর্ড নামে পরিচিত এই বোর্ডে একজন চেয়ারম্যানসহ মোট ১৭ জন সদস্য থাকবেন। বোর্ডে নতুন করে আইসিটি ডিপার্টমেন্টের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদশ শিশু একাডেমির নতুন আইনের ৮ ধারা মোতাবেক ফেলোশিপ প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে। এই ফেলোশিপ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সাত সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির কার্যক্রম বিধির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির নতুন আইন অনুসারে পরিচালকের জায়গায় মহাপরিচালক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। বোর্ডের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে এবং বোর্ড বছরে ছয়টি সভা করবে। ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সরকার নিযুক্ত করবে। চেয়ারম্যানের চাকরি সরকারের বিধির মাধ্যমে নির্দেশিত হবে। তবে তিনি সার্বক্ষণিক হবেন না।