স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে এক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করছেন। নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও কদর বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসন সদর ও বিশ্বম্ভরপুর নিয়ে গঠিত। আসনের ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬শ। ১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত দশটি সংসদ নির্বাচনে ৩ বার আওয়ামী লীগ, ৩ বার বিএনপি এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনসহ ৪ বার জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। সংসদীয় আসনে পর্যায়ক্রমে জয় পেয়েছে দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি।
বর্তমানে এই আসনটি মহাজোটের শরিক জাপার (এরশাদ)। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মিসবাহ জাপাতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য হন। মনোনয়ন পেয়েও দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির। গেলবারের মত এবারও এই আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া জাপা। দেশব্যাপী যে ক’টি আসন জাপা আ.লীগের কাছে দাবি করেছে তার অন্যতম হল সদর আসন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এমন কি এক ঘরে দুই প্রার্থীও আছেন। এমন অবস্থায় নেতাকর্মীরাও কিছুটা বিভক্ত। জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সহ-সভাপতি ড. খায়রুল কবির রুমেন, তার ছোট ভাই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। পৃথকভাবেই তারা নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় সভা-সমাবেশ একসঙ্গে করলেও গণসংযোগ ও সমাবেশের ক্ষেত্রে একে অন্যকে এড়িয়ে চলছেন। সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও বিষয়টি লক্ষ করা গেছে।
এদিকে প্রার্থীরা নিজেদের শক্তি জানান দিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। সর্বশেষ রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন নির্বাচনী শো-ডাউন করেছেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মিছিল করেন। এসময় নেতাকর্মীরা হাই কমান্ডের প্রতি আগামী নির্বাচনে সদর আসনটি জাপাকে ছাড় না দিতে আহ্বান জানান।
অন্যদিকে জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান এক উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি সদর আসনে সাংসদ থাকাকালীন যে উন্নয়ন করেছেন তার ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া বর্তমান সরকার যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করছে তার বিবরণও সেখানে থাকছে।
অন্যদিকে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে আসার কথা রয়েছে। তিনি দলীয় সমাবেশে ভাষণ দেবেন। তার সুনামগঞ্জ আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরাও সেদিন শো-ডাউন দিবেন।
আ.লীগের এক নেতা বলেন, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। আমাদের কদর কিছুটা বেড়েছে, কারণ নেতাকর্মীরা ছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পারছেন না।