1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উদ্ঘাটন

  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উদ্ঘাটন করেছেন ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)-এর মৎস্য বিজ্ঞানীরা। প্রায় তিন বছর গবেষণার পর দেশের বিজ্ঞানীরা এই সফলতা অর্জন করেন। শনিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইলিশ জিনোম সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি টিমের সমন্বয়ক ও ফিসারিজ বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম।
বাকৃবি ক্যা¤পাসের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইলিশের ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিআই) পাওয়ার পর দেশীয় ইলিশের রেফারেন্স জিনোম প্রস্তুতকরণ, জিনোমিক ডাটাবেজ স্থাপন ও মোট জিনের সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গবেষণা কাজ শুরু করেন বাকৃবির গবেষকরা। প্রায় ৩ বছরের গবেষণার পর বিশ্বে প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হয়েছে ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য।
তিনি আরও বলেন, জিনোম হচ্ছে কোনও জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় জিনোমের মাধ্যমে। ইলিশের জিনোমে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড রয়েছে, যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ।
অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম জানান, ইলিশের জিনোম সিকোয়েন্স জানার মাধ্যমে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে খুব সহজে। এর মাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য উন্মোচনের মাধ্যমে ইলিশের টেকসই আহরণ নিশ্চিত করা যাবে। এছাড়া ইলিশের জন্য দেশের কোথায় কোথায় ও কতটি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। অন্য দেশের ইলিশ থেকে আমাদের ইলিশ বৈশিষ্ট্যগতভাবে স্বতন্ত্র কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডি-নোভো-জিনোম অ্যাসেম্বলি প্রস্তুত হয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক জিনোম ডাটাবেজ ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে জমা করা হয় ইলিশের স¤পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স। তাছাড়া ইলিশের জিনোম নিয়ে গবেষণালব্ধ ফলাফল ২টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ইলিশ জিনোম গবেষণায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপত ড. সামছুল আলম। এই দলের সদস্য ছিলেন পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা, বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম ও ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কাদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com