1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শিশুশ্রম বন্ধের পাশাপাশি শিশুশিক্ষার বিষয়টিকেও এগিয়ে নিতে হবে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি শিরোনাম ছিল, “শিশুশ্রম বন্ধ হচ্ছে”। শিরোনামটি পড়ার পর মনে এক ধরনের স্বস্তিবোধ ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে শিশুরা অন্তত কঠোর শ্রম করার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “[…] ১৪ বছরের নিচে কাউকে কোনও ধরনের কারখানায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না।” আইনে কারখানার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আমাদের মনে হয় অধিকাংশ শিশু কারখানার বাইরে শ্রম দিয়ে থাকে। একটি আট নয় বছরের ছেলে হয় তো কোনও চায়ের দোকানে কাজ করছে, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। প্রশ্ন উঠতে পারে, শহরের টোকাইদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার বিষয়টিকে কী করে নিরসন করা হবে? যে-সব শিশুরা শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত হয় তারা সিংহভাগ শহরের কারখানার বাইরে শ্রম দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশুরা এখনও দারিদ্র্যতার চাপ সইতে না পেরে শিশুশ্রমিক হতে বাধ্য হয়। যে-বয়সে তাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলা করার কথা সে-বয়সে তারা সংসারের ঘানি টানে, কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়। গ্রামান্তরে অবস্থা বিশেষ ভালো নয়, সেখানে শিশুশ্রমিকদের অবস্থা আরও করুণ। তাই এই আইন পাস করার পরও শিশুশ্রম ব্যবহারের পরিমাণ খুব বেশি একটা কমবে বলে মনে হয় না। আসলে অন্য কীছু করতে হবে। শিশুদের অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে, যাতে শিশুদের পড়াশোনা কোনওভাবেইে অনিশ্চিত হয়ে না পড়ে।
শিশুরা যে-কোনও দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন বড় হয়ে দেশ ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। যারা দেশ-রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে তারা শিক্ষাদীক্ষায় অনগ্রসর হলে চলবে না। শিক্ষিত নাগরিক রাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমাদের দেশ এখনও এমন এক আর্থসামজিক বিন্যাসের বলয়ে আটকে আছে যেখানে শিশুরা আগামী দিনে বিশ্বায়িত দুনিয়ায় যোগ্যতানুসারে সম্মানের স্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। এটি একটি জাতীয় সমস্যা। আইন করে শিশুশ্রম বন্ধ করলেই হবে না, শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও শিক্ষা প্রকৃতপ্রস্তাবে একটি সুযোগ হয়েই আছে, অধিকার হয়ে উঠতে পারেনি, বরং ইদানিং শিক্ষা একটি দামী পণ্যে পরিণত হয়ে পড়েছে ও সমাজে শিক্ষাসংকোচন বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা ধনীলোকদের একচেটিয়া অধিকারে পরিণত হয়েছে। গরিবদের পক্ষে উচ্চমূল্যে শিক্ষা ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে। শিশুশ্রম বন্ধ কারার পাশাপাশি তাই শিশুশিক্ষার বিষয়টিকেও এগিয়ে নিতে হবে, বাড়তে হবে শিশুশিক্ষার গতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্বীপ পরিকল্পনা ঘোষণা করছেন। আমরা আনন্দিত। তাঁকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, শিক্ষাকে পিছিয়ে রেখে দ্বাবিংশ শতাব্দীর বদ্বীপ পরিকল্পনার সাফল্য দিবাস্বপ্নে পর্যবশিত হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com