1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শত বছর মেয়াদী ডেল্টা প্ল্যান অনুমোদন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা পরিপূর্ণরূপে কাজে লাগাতে পরিকল্পনা নিলো সরকার। অনুমোদন পেল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শত বছর মেয়াদী পরিকল্পনা ‘ডেলটা প্ল্যান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০।’ এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদী ভাঙন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ পরিকল্পনার অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভার বিস্তারিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। এত লম্বা সময়ের পরিকল্পনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম- এমনকি বিদেশেও হয়নি।
তিনি জানান, আজকের দিনটি আমাদের দেশের জন্য একটি ‘রেড লেটার ডে’। ২১০০ সাল নাগাদ আমরা দেশকে পানি ব্যবস্থাপনায় কীভাবে দেখতে চাই, এটা তারই পরিকল্পনা।
তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ আরেকাট পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। এর আলোকে আমরা উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যাব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডস এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ৬ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার নতুন ভূমি পেয়েছে। তাদের সহযোগিতাতেই এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পানি আমাদের সবচেয়ে বড় স¤পদ। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই পানিকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে কৃষিতে আমরা পিছিয়ে থাকব না। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারব।
ডেলটা পরিকল্পনায় যা আছে :
নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবছর জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রায় আড়াই শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ প্রতিবছর ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।
নেদারল্যান্ডস’র ডেলটা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনা তৈরির কাজ তিন বছর আগে শুরু করে সরকার।
পরিকল্পনার ধারণা অনুযায়ী, দেশজ আয়ের মোট চাহিদার আড়াই শতাংশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন বেসরকারি খাত থেকে এবং ২ শতাংশ সরকারি খাত থেকে যোগান দিতে হবে।
ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বেশিরভাগ সরকারি অর্থায়ন বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন, নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, এবং নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ নদী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে।
জিইডি সূত্রে জানা যায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর প্রাথমিক ধাপ বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সাল নাগাদ। এই পরিকল্পনা যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো-সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণাবিষয়ক প্রকল্প রয়েছে।
আর বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com