মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
টোকেন হাতে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ বিকেলে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক হতদরিদ্র নারী ও পুরুষকে। রোববার বিকেলে ভিজিএফ’র চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত দোহালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক নারী ও পুরুষ সুরমা নদীর খেয়া পারাপার হয়ে ইউএনও’র গাড়ি দেখে জড়ো হন। হাতে হাতে টোকেন ও খালি বস্তা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজের কাছে তাদের কষ্টের কথা তোলে ধরেন।
প্রচ- রোদ উপেক্ষা করে ভিজিএফ’র ২০ কেজি চাল পেতে সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের কিত্তে রাজনপুর (গাঙ চর) গ্রামের বিধবা সোনাবালা বেগম (৭০)। টোকেন হাতে বয়োবৃদ্ধ ওই বিধবা চাল পাওয়া তো দূরের কথা শেষ বিকেলে চেয়ারম্যান শূন্য হাতে তাদের দূর দূর করে সরকারি খাদ্যগুদাম এলাকা হতে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন। খালি বস্তা হাতে চোখের পানি মুছতে থাকেন আর কান্না জড়িত কণ্ঠে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোনাবালা বেগম বলেন, ‘সখালে ফানি ভাত (পান্তা ভাত) খাইয়া গোডাওনো (খাদ্যগুদামে) আইছলাম। টোকেন নিয়া সারাদিন লাইনে খাড়া অইয়াও চাউল পাইলামনা। চেয়ারম্যান ঠেলাইয়া ধাক্কাইয়া বাইর খরি দিছইন। আমরার খফালো আর ঈদ নাই।
একই ইউনিয়নের গোরেশপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৭০) জানান, চেয়ারম্যান টোকেন দিছইন। হারা দিন লাইনে খাড়া অইয়াও চাল ফাইলামনা। আমরারে ঠেলা ধাক্কা দিয়া তারা খালি হাতে ফিরাইয়া দিছইন।
নোয়াগাঁও গ্রামের করফুল বেগম (৭৫) বলেন, চেয়ারম্য্যান সবরে চাউল দিছইন। আমরার টোকেন আছে এর ফরেও চাউল দিছইন না।
হতদরিদ্র নারী ও পুরুষদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বঞ্চিতদের সান্ত¦না দিয়ে বলেন, যারা টোকেন পেয়েও চাল পাননি তাদের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
জানতে চাইলে দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু বলেন, যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের টাকা দিয়ে দেবো। আমি ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি।