সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কোন অবস্থাতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি। রোববার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন হুঁশিয়ারি দেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাড়াহুড়া করে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। এমনকি প্রধান নির্বাচন কমিশনারও (সিইসি) একাধিকবার বলেছেন, সবাই না চাইলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না।
রিজভী আরও বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তির গণমাধ্যমে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য জনগণের কাছে অঙ্গিকারনামার মতো বিবেচিত হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতির বক্তব্য থেকে সরে গিয়ে সিইসি বিপুল টাকার অংকে দেড় লক্ষ ইভিএম মেশিন কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে কমিশনের সচিব গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন-যা স¤পূর্ণভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। আগামী নির্বাচনকে ক্ষমতাসীনদের অনুকূলে নেওয়ার জন্য ইভিএম ব্যবহার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সচিবের যৌথ প্রযোজনা। ইভিএম মানেই ত্রুটিযুক্ত নির্বাচন। ইভিএম দিয়ে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইভিএমে সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। এ মেশিন দিয়ে ডিজিটাল কারচুপি হওয়া সম্ভব। ইভিএম স¤পর্কে এর আগে বিস্তারিত আমরা জানিয়েছি। আগামী নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর জন্যে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে সিইসি ও কমিশনের সচিব। আগামী নির্বাচন পুরোপুরি জালিয়াতির ওপর সাজাতেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের অশুভ তৎপরতা বন্ধ করতে জনগণ প্রস্তুত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ।