গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, “সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল : শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য ভ্যান বিতরণ”। সংবাদবিবরণী থেকে জানা যায়, ভ্যান দুটি তৈরির টাকা জেলা প্রশাসন ও এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রদান করেছেন। আমরা তাঁদের এই মহতি কাজের জন্য তাঁদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
প্রতিবন্ধী মানুষেরা তাঁদের শারীরিক কারণেই জীবনযাত্রার বিভিন্ন কাজে ও চলাফেরায় অসহায়ত্বের শিকার। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শিশুরা তাদের প্রতিবন্ধকতার কারণে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন। প্রতিবন্ধী মানুষের সম্পূর্ণ নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার পক্ষে এখনও আমাদের দেশের অর্থনীতি ততোটা পরিপক্ক হয়ে ওঠেনি। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬০০ ডলার অর্থাৎ ১ লক্ষ ৩০ হাজারের মতো হলেও এটা দেশের সিংহভাগ মানুষের মাথাপিছু আয়ের পরিসংখ্যান নয়। শতকরা যে-পাঁচ/ছয়জন মানুষের সুবিশাল আয়কে হিসেবে ধরে এই গড় মাথাপিছু আয় নির্ণয় করা হয়েছে। দেশের এই স্বল্পসংখ্যক ধনী ব্যক্তিরা ইচ্ছা করলে তাঁদের অর্থসহায়তা দিয়ে প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনকে সুখে ভরিয়ে দিতে পারেন।
আমরা আশা করব, ধনীরা এমন শিশু প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরকে সাহায্য করার মতো জনহিতকর কাজে অর্থসহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসবেন। এতে প্রতিবন্ধীরা তাঁদের পড়াশোনা অব্যাহত রেখে সমাজের মূল ¯্রােতের সঙ্গে উৎপাদনের কাজে শরিক হতে পারবে, সমাজের কাঁধে বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে না।