গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, “সুনামগঞ্জ সিলেট সড়ক ॥ ট্রাক, সিএনজি, আটোরিকসার ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪”। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে দেশের সর্বত্র, সড়কগুলোতে এবং মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় ও এর প্রতিকার নিয়ে বিভিন্ন সংবদমাধ্যম ও সভা-সেমিনারে যতোটা কথা-বার্তা ও সমাধানের যতো কলাকৌশল আবিষ্কার হয়, সেগুলো সাধারণত প্রচারমাধ্যম ও বক্তৃতাবিবৃতি পর্যন্তই থেমে থাকে। এর বেশি যথাক্ষেত্রে কার্যকর করার বা বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হয় না। কোনও আমলেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বা কমানোর কোনও কার্যকর ব্যবস্থা, সেটা আইনি বা অবকাঠামোগত যাই হোক কোনটাই, গ্রহণ করা হয়নি। দুর্ঘটনা কমাতে হলে প্রত্যেকটি রাস্তাকে অন্তত দুই লেনে বিভক্ত করে দিতে হবে। বর্তমানের একটি সাধারণ রাস্তার দুই পাশ ধরে যান চলার পথ আছে। সে পথকে আরও প্রশস্ত করে আসা ও যাওয়ার আলাদা পথ তৈরি করে দিতে হবে। যানবাহনের সড়কে চলার সক্ষমতা, প্রশিক্ষিত দক্ষচালক, দুর্ঘটনায় অপরাধ সংঘটিত হলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়ে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া সড়কের উপর যানবাহনের চাপ কমাবার জন্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেলপথ সম্প্রসারিত করা না গেলে সড়কের উপর যানবাহনের এই খুনি দৌরাত্ম্য সহ্য করতেই হবে।
গতকালের দুর্ঘটনাটির কারণ মালবাহী ট্রাকের দ্রুত গতি। দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত এই দ্রুতগতির ট্রাকগুলোকে রাতের বেলায় চলাচলের সুযোগ করে দিতে হবে। তানা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বাড়বে বই কমবে না।