বিশেষ প্রতিনিধি ::
জেলায় এবছর এইচএসসি পরীক্ষার পাসের হার কমেছে। তবে জিপিএ’র সংখ্যা বেড়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছর পাসের হার ৭৩.৩০ শতাংশ। এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪.২০ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০জন, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২জনে।
এ বছর জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ হাজার ৪শ ১ জন। তার মধ্যে পাস করছে ৮ হাজার ৬শ ৩ জন। ফেল করেছে ৪ হাজার ৭৯৮ জন।
ছেলে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে ৬ হাজার ৭৮ জন। তার মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৩৩৫ জন। ছেলেদের মোট পাসের হার ৬১.৪৫ শতাংশ। মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছে ৮ হাজার ৩২৩ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ৮৬৮ জন। মেয়েদের পাসের হার ৬৬.৪৮ শতাংশ।
গত বছর ১১ হাজার ৮২৬জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে পাস করেছিল ৮ হাজার ৬৬৯ জন। মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ছিল ৬ হাজার ৫৩৫ জন, ছেলে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল ৫ হাজার ২৯১ জন। এর মধ্যে মেয়েরা পাস করেছিল ৪ হাজার ৮৫৩ জন। ছেলেরা পাস করেছিল ৩ হাজার ৮১৬ জন। ছেলেদের পাসের হার ছিল ৭২.১২ শতাংশ। অন্যদিকে মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪.২৬ শতাংশ।
গত বছর মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪.২৬ শতাংশ, এবার তা নেমে ৬৬.৪৮ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে গেল বছর ছেলেদের পাসের হার ছিল ৭২.১২ শতাংশ, এবার তা কমে হয়েছে ৬১.৪৫ শতাংশ।
গেল বছর জেলায় দুটি কলেজে পাসের হার শূন্য থাকলেও এবার ১টি কলেজের পাসের হার শূন্য। ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা আজমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় কেউ পাশ করতে পারে নি।
সুনামগঞ্জ জেলার ফল বিপর্যয় নিয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ বলেন, এ বছর সারাদেশেই ফল বিপর্যয় হয়েছে। তবে শিক্ষার মান বেড়েছে। আমাদের কলেজে মোটামুটি এবার ফল ভাল হয়েছে। আরো ভাল হতো যদি আমাদের শিক্ষক ও অবকাঠামো গত কোন প্রকার অসুবিধা না থাকতো।