1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামকে অভিনন্দন

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮

আমাদের দেশের আর্থসামাজিক বিন্যাসটাই এমন যে, এখানে সর্বার্থে সমাজকল্যাণসাধনে নিয়োজিত নিষ্কলুষ ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব একটি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তিনি হতে পারেন একজন প্রশাসক কিংবা জনপ্রতিনিধি অথবা আমজনতার যে-কোনও একজন। দেশের জনপ্রশাসনে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সম্পর্কে তো ব্রিটিশ আমলের বিখ্যাত মেকলেপনার অপবাদ বাজারচলতি প্রসিদ্ধি পেয়ে বসেই আছে, সেই কবে থেকেই। কেউ কেউ তো মেকলের সাকরেদিপনা ফলাতে চেষ্টার কোনও কসুরও করেন না। তাঁদেরই কেউ একজন হয় তো বা সুনামগঞ্জের অর্ধেক লোক মারা গেলে সুনামগঞ্জকে দুর্গত ঘোষণা করার সদয় সম্মতি দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন এবং অন্যজন সে সিদ্ধান্তের অন্যথা করার সাহস করেননি। তাঁরা কেউ কেউ সুনামগঞ্জ থেকে বিদায়বেলায় সমগ্র সুনামগঞ্জকে মাৎসর্যে ডুবিয়ে দিয়ে স্বশ্রীসমাবৃত হয়ে চলে গেছেন। কিন্তু সুনামগঞ্জের হৃদয়মন্দিরে অম্লান আসন অর্জনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের জন্য পেছনে কীছু রেখে যাননি।
কাউকে দোষারাপ করে কোনও ফয়দা নেই। যে-সমাজে পুঁজি মানুষের প্রভু হয়ে বসে আছে, সেখানে মানুষের চরিত্রে নিরঙ্কুশ নির্মলতা থেকে জাত গণমানুষের সাহসী পক্ষাবলম্বন আশা করা উচিত নয় বরং মানুষ এখানে মানুষ ও মানবতা থেকে বিচ্ছিন্ন না হলে সেটা হবে পশ্চিমে সূর্যোদয়ের মতো একটি অসম্ভব ঘটনা। তবে ব্যতিক্রম যে একেবার নেই এমন তো নয়। সকলেই ‘সুনামগঞ্জকে মাৎসর্যে ডুবিয়ে দিয়ে স্বশ্রীসমাবৃত’দের মতো নন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ছাঁচে গড়া প্রশাসনিক কাঠামোর ভেতরে কেউ কেউ যে ব্যতিক্রমী ছিলেন না এমনও নয়। সত্যিকার অর্থেই সুনামগঞ্জের জনপ্রশাসনের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী কেউ কেউ আবির্ভূত হয়েছেন। সকলের নামোল্লেখ এখানে না করা গেলেও, দু’জনের নাম উল্লেখ করাই যায়। কেননা তাঁরা অন্য সকলের মতো নন। তাঁরা হলেন, মহকুমা প্রশাসক শামসুল আলম, জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আলী খান। সুনামগঞ্জ তাঁদের মনে রেখেছে এবং রাখবে। এবার সুনামগঞ্জ আর একজন ব্যতিক্রমী প্রশাসক পেয়েছে, যিনি গতানুগতিক জনবিচ্ছিন্নতায় নিমজ্জিত প্রশাসক নন, তিনি আপাদমস্তক ব্যতিক্রমী। এই জন্যে ব্যতিক্রমী যে, তিনি প্রগাঢ়ভাবে জনলগ্ন জনপ্রশাসক। তিনি হাওররক্ষা বাঁধ তদারকি করেন প্রতিটি বাঁধে উপস্থিত হয়ে বাঁধের ফার-দিঘের প্রতি ইঞ্চিতে অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, আমজনতার সঙ্গে নিরন্তর ভাববিনিময় করে। এই তিনি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
কোনও একজন জনপ্রশাসককে পত্রিকার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানোর মধ্যে কেউ কেউ এক ধরনের মোসাহেবিপনার গন্ধ পেতেই পারেন। কারও গন্ধানুসন্ধী নাকে এমন গন্ধ অনুভূত হলে আপত্তির কোনও কীছু নেই। গন্ধানুসন্ধানের স্বাধীনতা যে-কারও থাকতেই পারে। আমাদের যেমন স্বাধীনতা আছে কেউ যদি সুনামগঞ্জের কোনও একটি ইউনিয়নেও একটিমাত্র ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পাঠাগার’ স্থাপন করেন তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধের মহিমাকে সমুজ্জ্বল করে নিজেদেরকে গৌরবান্বিত করার। জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামের উদ্যোগে সুনামগঞ্জে ইতোমধ্যে ৩১ ইউনিয়ন পরিষদে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পাঠাগার’ স্থাপিত হয়েছে। এই গৌরবে গৌরবান্বিত হওয়াকে যদি কারও ইচ্ছে হয় মোসাহেবিপনা ভেবে নিয়ে নিজের রাজনীতিক-সাংস্কৃতিক পরিচিতি প্রকট করার তা তিনি করতেই পারেন। আমরা আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে হাত রেখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও সমুজ্জ্বল করার কার্যক্রমে বেশি বেশি করে অংশ নেবো এবং সুনামগঞ্জের ইউনিয়নে ইউনিয়নে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পাঠাগার’ স্থাপনের মহতি কর্মের রূপকার আমাদের প্রিয় জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামকে অভিনন্দন জানাবো। জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম সিভিল সার্ভিসের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৮’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। আগামী ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি পদক গ্রহণ করবেন।
সুনামগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে অগ্রিম অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com