গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদের শুরুতেই বলা হয়েছে, ‘রোগীর স্বজন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহীর বিরুদ্ধে’। মাহী প্রমাণ করেছেন তিনি একজন ধর্ষণপ্রবণ সমাজের মানুষ। একজন চিকিৎসক তৈরি করতে মাহী কর্তৃক ধর্ষিত কিশোরীর অভিভাবকের কতো টাকা খরচ হয়েছে সে হিসেবের ফিরিস্তি এখানে দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু খরচ তো হয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর মতো কোটি অভিভাবকের টাকায় গড়ে উঠেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। হাসপাতালের মতো অবকাঠামো তৈরির পেছনে মানুষ তার একটাই আশার বাস্তবায়ন করেছে, হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসকের অন্তরাত্মায় একজন অসুখে বিপন্ন মানুষকে সুখী করে তোলার, এমনকি মৃত্যুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করার মানুষ থাকবে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে একজন ধর্ষকের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারপর সত্যিকার অর্থে বোধগম্য হচ্ছে না যে, আমরা কোথায় আছি? এখন ভাবার সময় এসছে, মানুষকে নিরাময় করে তোলার মতো মানবসেবার ব্রতে নিয়োজিত হাসপাতালে ধর্ষকের প্রবেশরোধ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়।
ধর্ষকের শাস্তি অবশ্যই চাই। ইসলামী মতে ধর্ষকের শাস্তির কথা সকলেই জানেন। সেই শাস্তি কার্যকর না-করা গেলেও এমন শাস্তির ব্যবস্থা হোক যাতে দ্বিতীয় বার ধর্ষক হওয়ার সাহস না পায়। সেই সঙ্গে চাই, কোনও ধর্ষক চিকিৎসক হতে না পারার এবং এমন ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হলে তার চিকিৎসকের ছাড়পত্রটি বাতিল করে দেওয়ার অব্যর্থ ব্যবস্থা। হাসপাতালে ধর্ষকের অনুপ্রবেশ অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে।