ত্রিশ লক্ষ শহীদের দেশ বাংলাদেশ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ত্রিশ লক্ষ গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৮ জুলাই সারাদেশে একযোগে এই চারা রোপণ করা হবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলাকে কেন্দ্র করে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। উদ্যোগটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। প্রতিবছর এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই কারণে সত্যিকার অর্থেই এই কর্মসূচিটি তাৎপর্যের দিক থেকে সুদূরপ্রসারী। বাংলাদেশের পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক এরকম একটি কর্মসূচি হাতে নেয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে যাঁরা কাজ করেন বা কাজের দায়িত্ব নেন বা পান তাঁরা প্রায়শ কথায় ও কাজে এক হতে পারেন না। তাই অনেক সময় বিষয়টা অনেকটা ‘সরকারকা মাল দরিয়া মে ঢাল’ মতোন হয়ে পড়ে। পত্রিকায় খবর পাই, এখানে সরকারি উন্নয়ন কাজে রডের বদলে বাঁশ দিয়ে কাজ সমাপ্ত করতে ঠিকাদাররা ইতোমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৃক্ষ রোপণ করা হবে তা নির্ধারণ করা জরুরি এবং সেটা মাঠপর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে কি না নিশ্চিত করা দরকার। খেয়াল রাখা দরকার যে, পরিবেশবিরোধী বৃক্ষ যেন রোপণ করা না হয় এবং এটাও খেয়াল রাখা দরকার যে, এই ত্রিশ লক্ষ গাছকে অবশ্যই ফলদ কিংবা কষ্ঠল বৃক্ষ হতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এই কর্মসূচিটি কেবল পরিবেশ উন্নয়নই করে না, পরিবেশ উন্নয়নের সঙ্গে একটি অর্থকরী কর্মসূচিতে পরিবর্তিত হয় দেশে কাঠ ও ফলের অভাব পূরণে সমর্থ হয়।