1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এ আইনের খসড়া প্রণয়নের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের কার্যক্রম দ্রুত পরিচালনা করার জন্য পৃথক আদালত গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল হতে মাদক ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি প্রদানের নিমিত্তে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৯০ সালের। এই আইন দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। নতুন আইনে মাদকাসক্ত শনাক্তের জন্য ডোপ টেস্টের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসায় অর্থ লগ্নিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ আইনের আওতায় মৃত্যুদণ্ড প্রদানের প্রস্তাব করা রাখা হয়েছে। নতুন করে আবির্ভূত কোনো মাদকদ্রব্যকে আইনের আওতায় মাদক হিসেবে ঘোষণার জন্য মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিসা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় একে মাদকদ্রব্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মাদক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ ও র‌্যাব এক লাখ ৩২ হাজার ৮৩৩ জন মাদকব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক লাখ ৬ হাজার ৬৩৬টি মামলা দায়ের করে। এ সময়ে অন্যান্য মাদকদ্রব্যসহ ৪ কোটি ৭৯ হাজার ৪৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ৩১২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযান চলাকালে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে এক হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তিনি জানান, ইয়াবা পাচাররোধকল্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে মিয়ানমার ও ভারতের মাদক ব্যবসায়ীদের ও মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা উভয় দেশের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com