1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সমন্বিত শিক্ষা আইনেও নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ থাকছে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কোচিং ব্যবসা বন্ধসহ নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ থাকছে সমন্বিত শিক্ষা আইনে। খসড়ায় অনেক কিছু সংযোজন-বিয়োজন হলেও এ বিষয়টি রাখা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ‘আইনের খসড়া পরীক্ষায় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি’র সভাপতি জাবেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আগের খসড়ায় যেভাবে কোচিংবন্ধসহ নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ ছিল তা থাকছে সমন্বিত সমন্বিত শিক্ষা আইনে।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) ‘আইনের খসড়া পরীক্ষায় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি’র বৈঠক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষা সংক্রান্ত যত আইন রয়েছে সব আইন সংযোজন করতে হবে আইনের খসড়ায়।
অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, মন্ত্রিসভার দেওয়া পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী আমরা সব আইন সংযোজন করে খসড়া চূড়ান্ত করবো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রস্তাবিত আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেসব এমন আইন, বিধি, প্রবিধান ও রীতি রয়েছে সেসব সমন্বয় করে আইন হবে। তবে এতে সময় লাগবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষা সংক্রান্ত সব আইন সমন্বয় করে খসড়া চূড়ান্ত করতে তিন মাসেরও বেশি সময় লাগবে।
বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খসড়া চূড়ান্ত হলে তা যাবে মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সংসদে। ততদিনে এ সরকারের মেয়াদ থাকছে না। অর্থাৎ বর্তমান সরকার মেয়াদে শিক্ষা আইন তৈরি সম্ভব নয়।
শিক্ষা আইনের খসড়া ঠিক করতে মন্ত্রিসভা তিন দফা ফেরত পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। শেষবারে শিক্ষা সংক্রান্ত সব আইন সমন্বয় করতে পর্যবেক্ষণ দেয় মন্ত্রিসভা। ১২টি পর্যবেক্ষণ নিয়ে কাজ করছে আইনের খসড়া পরীক্ষায় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।
মঙ্গলবার বৈঠকের পর অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ আরও বলেন, মন্ত্রিসভা বলেছে, খসড়া আইনটি কম্প্রিহেন্সিভ না। দেশে শিক্ষা সংক্রান্ত প্রায় ৫০টির মতো আইন রয়েছে। যদি শিক্ষা আইন করতে হয় তাহলে ওইসব আইনগুলোকে সমন্বয়, সংযোজন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট যত আইন রয়েছে, আমরা সেগুলো সমন্বয় করে খসড়া তৈরি করবো।
‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ অনুযায়ী ২০১১ সালে শিক্ষা আইন করার উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১২ সালে শিক্ষা আইনের প্রথম খসড়া তৈরি হয়। সংযোজন-বিয়োজন শেষে ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এরপর সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হলেও তিন দফা পর্যবেক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠায় মন্ত্রিসভা। তৃতীয়বারে ১২টি পর্যবেক্ষণ দিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব আইন সমন্বয় ও সংযোজনসহ নতুন করে সমন্বিত আইন করতে বলা হয়।
মন্ত্রিসভার ওই পর্যবেক্ষণের পর গত ২৬ এপ্রিল শিক্ষা আইনের খসড়া পরীক্ষায় একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই কমিটি মঙ্গলবার (১০ জুলাই) এ সভা করে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com