1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জামালগঞ্জে ভুয়া সনদে চাকরির আবেদনের অভিযোগ

  • আপডেট সময় বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জে ভুয়া সনদপত্র দাখিল করে দফাদার-চৌকিদার পদে আবেদনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলার উত্তর কামলাবাজ গ্রামের মো. জসীম উদ্দীন গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরানের বরাবরে অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগে জানা যায়, একই ইউনিয়নের পশ্চিম লম্বাবাঁক গ্রামের কাসেম আলীর পুত্র মো. মোজাহিদ আলম, কামিনীপুর গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে মোঃ শাহজাহান মিয়া ও পূর্ব লম্বাবাঁক গ্রামের মিরিজ আলীর ছেলে মো. লিটন মিয়া বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে অষ্টম শ্রেণি পাসের ভুয়া সনদপত্রের মাধ্যমে জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি প্রত্যাশী হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন। এছাড়া পশ্চিম লম্বাবাঁক গ্রামের ছিদ্দিক আলীর পুত্র মো. জামাল মিয়া সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর কামলাবাজ গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে রাজু পাঠান কৃষ্টপুর এ.এ উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেতাল আলীপুর গ্রামের আরফান আলীর পুত্র মো. জুবায়ের মিয়া আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ভুয়া সনদপত্র দাখিল করে চাকরির আবেদন করেন।
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, ভুয়া সনদপত্র ব্যবহার করে অভিযুক্তরা আবেদন করায় প্রকৃত স্থায়ী এবং বিধি মোতাবেক যোগ্য ব্যক্তিগণ চাকরি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
এ ব্যাপারে বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতিরঞ্জন পুরকায়স্থের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মো. মোজাহিদ আলম, মো. শাহজাহান মিয়া ও মো. লিটন মিয়া তারা কেউ আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় এবং তারা যদি অত্র বিদ্যালয়ের সনদপত্র নিয়ে থাকে তাহলে তারা আমার প্যাড ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া সনদ বানিয়ে তা দাখিল করেছে।
এছাড়াও সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. নজরুল ইসলাম জানান, মো. জামাল মিয়া আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নয় এবং তাকে কোনো ধরনের প্রত্যয়নপত্র আমি দেইনি।
অন্যদিকে কৃষ্টপুর এ.এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দীন জানান, রাজু পাঠান আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, আমার পক্ষ থেকে তাকে কোনো ধরনের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়নি।
আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান আহমেদ জানান, মো. জুবায়ের মিয়া নামে কোন শিক্ষার্থী আমার বিদ্যালয়ে ছিল না এবং আমি তাকে প্রত্যয়নপত্র দেইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com