গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ১২ শতক ভূমি ॥ দখলদার উচ্ছেদে দ্রুত পদক্ষেপ চাইলেন দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা’।
সুনামগঞ্জ শহরের কামারখাল সংলগ্ন একটি জায়গা থেকে জনৈক মুক্তিযোদ্ধাকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না সুদীর্ঘকাল থেকে। ১৯৮৪ সালে সরকার সংশ্লিষ্ট স্থানটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুকূলে প্রদান করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত স্থানটি এই মুক্তিযোদ্ধার দখলে আছে। প্রশ্ন হলো, যদি অবৈধ দখল হয়ে থাকে তবে কী করে এই জায়গাটি এতোদিন যাবৎ, সদর শহরের মতো একটি জায়গা যেখানে আইনি সচেতনতা মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল, সেখানে এই দাখলদারিত্ব কায়েম থাকে? এদেশে কোনও আইনি আদেশই যথাযথভাবে কার্যকর করা হয় না, ব্যক্তির তদবিরের জোর সরকারি আদেশ-নির্দেশের জোরের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, অচিরেই এই স্থানটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুকূলে দখল সমঝিয়ে দেওয়া বিহিত ব্যবস্থা করা উচিত। ভুলে গেলে চলবে না, অবৈধ দখলের মতো অন্যায়ের প্রতিকার না হলে সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল মানুষের সম্পত্তি সবল মানুষেরা দখল করে নেবে। মুক্তিযোদ্ধারা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিকার না পায় তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?