1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ঈদ মোবারক আসসালাম : মাও. কাজী মুহাম্মদ শাহেদ আলী

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮

দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে ১৪৩৯ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাকে জানাই আমরা ঈদ মোবারক আসসালাম। ঈদ অর্থ আনন্দ, খুশি, ফিরে আসা। যেহেতু প্রতি বছর একবার খুশি ও কল্যাণের সওগাত নিয়ে ফিরে আসে এ জন্যই দিবসকে ঈদ বলা হয়। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ঈদ হচ্ছে বান্দার জন্য বিরাট এক আতিথেয়তা। তাই তিনি ঈদের দিন রোজা রাখাকে হারাম করে দিয়েছেন।
‘ফিতর’ শব্দের অর্থ হয়েছে রোজা ভাঙ্গা। ‘ইফতার’ শব্দটি এই ‘ফিতর’ থেকেই এসেছে। তাই ঈদুল ফিতর অর্থ রোজা ভাঙ্গার ঈদ। ঈদের দিনে মিষ্টিমুখ করা সুন্নত। তাই মহানবী (সাঃ) মিষ্টি খেজুর খেয়ে ঈদের অনুষ্ঠানের সূচনা করতেন।
ঈদের দিন খুশি ও পুরস্কার বিতরণের দিন। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুরস্কৃত হবেন তারাই, যারা দিনের বেলায় পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার দরবারে দু’হাত জোড় করে এশার নামাজ শেষে তারাবীহর নামাজের জন্য দ-ায়মান হয়েছি, রহমত, বরকত ও মাগফিরাত লাভের আশায় যারা নিদ্রা ত্যাগ করে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করল, সাহরী ও ইফতারের সুন্নত তরিকা পালন করল, শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতিকাফ করল, এসবগুলি নেক কাজের বদলা নেওয়ার জন্যই অদ্য ফিতরা আদায় করার পর সবাই যেন ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে আসা অর্থাৎ রাস্তার ডান দিকে প্রস্থান করা। যাবতীয় কুরিপু খারাপ অভ্যাসকে বাদ দিয়ে ঈদগাহে খালেছ দিলে তওবা করে পুরস্কারের জন্য যাওয়াটাই প্রকৃত ঈদ।
ঈদের দিনে সকল মুসলমানগণ বেহেস্তী আওয়াজ উচ্চারণ করে ঈদগাহে যান তা হলো উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াল্লিহিল হামদ। ইমাম সাহেবের পেছনে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গলের জন্য দোয়া কামনা করা। আকাশবাসীদের জন্য আকাশে ঈদ জমিনবাসীদের জন্য জমিনে ঈদ। আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঐ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তাই ঈদ হচ্ছে বৃহত্তর গণজমায়েতের ব্যবস্থা। নেকী বেশি হলে পুরস্কার হবে অতি আনন্দদায়ক হবে আর পাপ বেশি হলে পুরস্কার হবে অতি বেদনাদায়ক। এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার নিজ কুদরতের হাতে দান করবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদিগকে রোজা মাসের সমস্ত নেক আমল ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের পুরোপুরি ছোওয়াব হাসিল করার তৌফিক দান করেন এবং রাইয়ান নামক বেহেস্তের দরজা দিয়ে ঢুকিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানান। আমিন, ছুম্মা আমিন।
[মাওলানা কাজী মোহাম্মদ শাহেদ আলী, প্রাক্তন সুপার (স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com