1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ব্যাংক নিয়ে সংসদে তোপের মুখে মুহিত

  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ‘বিশৃঙ্খলা’ নিয়ে সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রোববার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের স¤পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হন সংসদ সদস্যরা।
সরকারি দলের আলী আশরাফ স¤পূরক বাজেটের আলোচনায় বলেন, “ব্যাংকিং খাতকে সুষ্ঠু শৃঙ্খলার মধ্যে আনা প্রয়োজন। না হলে আর্থিক খাত ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নিতে হবে। খেলাপি একটু ধরেন। অর্থ পাচারকারীদের ধরেন।”
কুমিল্লার সংসদ সদস্য সাবেক এই ডেপুটি ¯িপকার আরও বলেন, “ব্যাংকের লুটপাট থেকে বেরিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে না। লুটপাটকারীদের ধরেন, মানুষের কনফিডেন্স ফিরে আসবে। সুশাসন নিশ্চিত হবে। দৃঢ় হাতে এগুলো করতে হবে। আপনাদের তো সদিচ্ছার অভাব নেই।”
ব্যাংকে আমানত রাখতে মানুষ এখন ভয় পায় মন্তব্য করে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ব্যাংকে টাকা রাখে মানুষ নিরাপত্তার জন্য। মানুষ ভীত হয়ে গেছে। টাকা পাচার হয়ে যায়। ঋণের নামে টাকা পাচার করে। লক্ষ লক্ষ হাজার কোটি টাকা বিদেশে গেছে। ঋণ খেলাপি কারা অনেকেই জানেন।
ব্যাংক, বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট করহার কমানোর সমালোচনা করে ফরাজী বলেন, “… আবার সুযোগ করে দিয়েছি। সর্বনাশ করে…ব্যাংক বলতে আর কিছু রাখবে না। এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক রেখেছেন। আবার তাদের ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হলো। যে টাকা খেলাপি সেই টাকা আদায়ের জন্য কি করা যেতে পারে? ভবিষ্যত সরকার না, কমিশন আপনিই (অর্থমন্ত্রী) করেন। ভারতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সরকারকে টাকা দেয়। আর আমরা ব্যাংককে ক্যাপিটাল দেই। তারা পারছে আমরা কেন পারবো না?”
জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। আল্লহার দরবারে বিচার হবে। কাদের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। তুঘলকি আমল নাকি? মাহমুদ গজনীর সোমনাথ মন্দির লুটের পর আর এত বড় লুট হয়নি, যা হয়েছে আমাদের ব্যাংকে।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “ডাকাতদের কেন সুযোগ দিলেন? তাদের কেন প্রটেকশন দিলেন?… ব্যাংকওয়ালার কি ভোট দেবে? সাধারণ মানুষের দিকে তাকালেন না। সোনালী, ফারমার্স, রূপালী ব্যাংক লুট হলো, জনগণ কী বিচার পাইলো। কিছুই পাইলো না। ব্যাংক দিলেন, জনগণ লগ্নী করে। আর সেই টাকা লুট হবে। মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছেন। ভোট বাড়াচ্ছেন না। তেলা মাথায় তেল দিচ্ছেন। … ৯৮ হাজার কোটি টাকা কে নিয়েছে? ফারমার্স ব্যাংক কেন নিলামে
তোলেন না? ২৪ হাজার টাকার জন্য কৃষককে ধরা হয়।”
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, “২-৩ বছর ধরে আমরা বারবার ব্যাংক লুট নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি। লুটকারীরা টাকা নিয়ে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী মানুষের করের টাকা দিয়ে মূলধন সরবরাহ করে যাচ্ছেন। সেখান থেকে আবার কিছু মানুষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী ব্যাংক সংস্কারে কমিশন করার কথা বলেছিলেন। বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বললেন, করবেন না। সংস্কার কমিশন গঠিত হলে কারা লুটপাট করেছে কীভাবে করেছে সব বেরিয়ে আসতো। নিশ্চয় অর্থমন্ত্রী এটা প্রকাশ করতে চান না।”
স¤পূরক বাজেটের নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন, সোহরাব উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরও আলোচনা করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com