মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জনবল না থাকায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ফলে প্রত্যন্ত এলাকার গরিব রোগীরা সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘ এক যুগ ধরেই চিকিৎসাসেবার সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সুরমা নদীর তীরের ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ময়লা আবর্জনা ফেলায় এখন নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার দোহালিয়া ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র দু’টির একটিতেও ডাক্তার নেই। কাগজে-কলমে একজন করে মেডিকেল অফিসার নিযুক্ত রয়েছেন যারা উপজেলা হাসপাতালে ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন। প্রত্যেক উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন অফিস সহায়ক, একজন নার্সসহ মোট ৫জন করে জনবল থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার দোহালিয়া ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অফিস সহায়ক অথবা ডেপুটেশনে নামমাত্র এক দু’জন কর্মরত আছেন।
সরেজমিন উপজেলা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখাগেছে, এমবিবিএস ডাক্তারের পদ থাকলেও একটিতেও ডাক্তার নেই। দোহালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপজেলা হাসপাতালের ডেপুটেশনে কর্মরত উপসহকারী চিকিৎসক সপ্তাহে ২/১ দিন রোগী দেখেন। এ কেন্দ্রে আধুনিক অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি। অনুমানের উপর নির্ভর করে ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত জনবল, ওষুধপত্র, আসবাবপত্র নেই এখানে। বর্তমানে একজন উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার উপজেলা হাসপাতালে ডেপুটেশনে চাকরি করছেন।
লক্ষ্মীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন উপসহকারি মেডিকেল অফিসার দিয়েই চলছে প্রত্যন্ত এলাকার চিকিৎসাসেবার কাজ। ওই কেন্দ্রে বাকি ৪টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জনবল না থাকায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বর্তমানে খুঁড়িয়ে চলছে। চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের প্রত্যন্ত এলাকার গরিব ও অসহায় রোগীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পুলিন বিহারী ধর জানান, জনবলের অভাবে সবগুলো ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এখন বেহাল দশা। সব ক’টি পদ শূন্য থাকায় বাজিতপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।