স্টাফ রিপোর্টার ::
জগন্নাথপুর উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ উদীচী ও খেলাঘর আসরের জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মানস রঞ্জন রায় (৬৫) আর বেঁচে নেই। শনিবার বিকেল ৩টায় সিলেট জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জগন্নাথপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পৌর শহরের মহাশ্মশানঘাটে তাঁর শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মানস রঞ্জন রায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবু হোরায়রা ছাদ মাস্টার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল মনাফ, সাবেক পৌর মেয়র আক্তার হোসেন, সাংবাদিক শংকর রায়, তাজ উদ্দিন আহমদ, সানোয়ার হাসান সুনু, অমিত দেব, নাট্যবাণী’র সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুল আহাদ, দিলওয়ার হোসেন, সাংবাদিক এনামুল হক রেনু, আলী আহমদম, গোবিন্দ দেব, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি প্রণয় সূত্রধর খোকন, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর রায় বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সতীশ গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার বণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিভাস দে, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক হীরা মোহন দে, শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল বণিক, অধ্যক্ষ পরিতোষ চক্রবর্তী শিবু, শিক্ষক বিজয় দেব, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক দ্বিপক কান্তি দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, রনি রাজ, সদস্য খোকন মিয়া, মোহাম্মদ নাঈম প্রমুখ।
উল্লেখ্য মানস রঞ্জন রায় ১৯৭৬ সাল থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সাথে জড়িত। তাঁর ৫টি নাটকের বই প্রকাশিত হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত দুই বিঘা জমিকে নাট্যরূপ দিয়ে তাঁর নির্দেশনায় একটি নাটক সিলেট বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে মঞ্চস্থ হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ওরা জেগে আছে, সিংহাসন, দুকূলে নদী ভাঙ্গন প্রভৃতি।
জগন্নাথপুরের সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে তাঁর নেতৃত্ব ছিল লক্ষণীয়। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন জগন্নাথপুর উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠন নাট্যবাণীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।