1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

১৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বেসরকারি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে, কয়েকটির মালিকানা দিয়ে মামলা চলছে, কয়েকটির ক্যা¤পাস অনুমোদিত নয় এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। এছাড়া বাংলাদেশে এখনও কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যা¤পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি জানিয়ে ইউজিসি কোনো বিদেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতেও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১০১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন আছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৯১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এর মধ্যে ৬০টিতে উপাচার্য, ২০টিতে উপ-উপাচার্য এবং ৪৪টিতে কোষাধ্যক্ষ রয়েছে। বাকিগুলোতে শীর্ষ পদ ফাঁকা রেখেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা’ জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইউজিসি।
এতে বলা হয়েছে, “কেউ অনুমোদনবিহীন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যা¤পাস বা অননুমোদিত কোনো প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তি হলে তার দায়-দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি নেবে না।”
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যা¤পাস ও প্রোগামে ভর্তি হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী হাল :
ইবাইস ইউনিভার্সিটি: ট্রাস্টি বোর্ড দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা করেছে। দ্বন্দ্ব নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পদক্ষেপের বিষয়েও একটি গ্রুপ আদালতে মামলা করে ওই পদক্ষেপের বিষয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছে।
আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি :
২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর এই বিশ্ববিদ্যালয় সরকার বন্ধ করে দেয়। পরে আদালতে রিট আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, অষ্টম তলা, বনানী ক্যা¤পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫৪/১ প্রগতি সরণী, বারিধারা, নর্দ্দা, পুলিশ স্টেশন, গুলশানের ঠিকানা অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ঠিকানার ক্যা¤পাস পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অবৈধ ক্যা¤পাস উচ্ছেদ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা :
২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রায় দেয়। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যা¤পাস ও ভবনের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য ইউজিসি একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে রিট দায়ের করে ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে। যদিও ইউজিসি এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ:
আদালতের রায় অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩৯, মেহেদীবাগ, চট্টগ্রাম এবং ২২ শহীদ মির্জালেন চট্টগ্রামে ক্যা¤পাস ছাড়া অন্য সব ক্যা¤পাস অবৈধ হওয়ায় অবৈধ ক্যা¤পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ইউজিসিকে নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইউজিসি ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থী ভর্তি না করাতে চিঠি দেয়। ইউজিসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রিট করলে আদালত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়:
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ার জন্য কমিশন ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে রিট করলে ২০১৭ সালের ২৯ মে আদালত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ, ইনভায়রনমেন্ট সায়েন্স, এমবিবিএস, বিডিএস এবং ফিজিওথেরাপি গ্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি আমলে নিতে ইউজিসিকে নির্দেশনা দেয়।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়:
আদালতের আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যা¤পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুইন্স ইউনিভার্সিটি:
সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দিলেও ২০১৫ সালের ৬ সপ্টেম্বর শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যা¤পাস:
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ফয়জ লেক, খুলশী, চট্টগ্রামের ক্যা¤পাসকে অনুমোদিত স্থায়ী ক্যা¤পাস জানিয়ে ইউজিসি বলছে, ধানম-ির ৬৩ সেন্ট্রাল রোডে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত ক্যা¤পাস আছে। গত ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে অনুমোদিত ক্যা¤পাস বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অনুমোদিত স্থায়ী ক্যা¤পাস সৃষ্টিগড়, শিবপুর, নরসিংদী এবং অস্থায়ী ক্যা¤পাসের ঠিকানা- ৩/২ ব্লক-এ, আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। ঢাকার উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির অননুমোদিত একটি ক্যা¤পাস আছে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার অনুমোদিত অস্থায়ী ক্যা¤পাস বাড়ি ৭৬-৭৭, রোড ১৪, ব্লক-বি, বনানী, ঢাকা। তবে বাড়ি-৭২, রোড-১৭, ব্লক-সি, বনানী, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি অননুমোদিত ক্যা¤পাস আছে।
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের অনুমোদিত স্থায়ী ক্যা¤পাসের ঠিকানা প্লট-২০১, সেক্টর-১৫, খানটেক, উত্তরা, ঢাকা। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার উত্তরায় ১২ নম্বর সেক্টরের বাড়ি-৫১, শাহ মখদুম রোড এবং বাড়ি-০২, সোনারগাঁও রোডে দুটি অননুমোদিত ক্যা¤পাস পরিচালনা করছে।
ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব-মামলা :
ঢাকার ইবাইস ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি :
রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটি, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com