স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের পুরাতন লক্ষণশ্রী গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ। মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন অন্তত ৩ গ্রামের মানুষ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি পাকা করা হোক। প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তাটি ব্যবহার করেন। কিন্তু সবার ভোগান্তির কারণ এই রাস্তা।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীর পক্ষে পুরাতন লক্ষণশ্রী সমাজ কল্যাণ সংগঠন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুগ যুগ ধরে আমাদের গ্রামের রাস্তাটুকু চলাচলের সুবিধা না থাকায় বর্ষা এলে আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি দুর্ভোগে পড়ে। তারা সময়মতো স্কুলে যেতে পারে না। এমনকি একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার গর্তে পানি জমে যায়। এতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
জানা যায়, এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে কৃষকরাও ভোগান্তির শিকার হন। তারা জমি থেকে গোলায় ধান তুলতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
এদিকে বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা কালীবাড়ি মোড়ে রাস্তাটি কেটে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন গ্রামবাসী। পরবর্তীতে পুরাতন লক্ষণশ্রী সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সদস্যরা কেটে দেয়া রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ নেন।
পুরাতন লক্ষণশ্রী গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই কাঁচা রাস্তাটিই আমাদের গ্রামে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেননি জনপ্রতিনিধিরা। সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এবং কৃষকদের জমি থেকে ধান বাড়িতে নিয়ে যেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
পুরাতন লক্ষণশ্রী সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস. আলম বলেন, বর্ষার সময় গর্ত, কাদা আর পানির কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আবার গ্রীষ্মের সময় ধুলাবালি, খানা-খন্দে পথচারীরা দুর্ভোগে যাতায়াত করেন।
পুরাতন লক্ষণশ্রী সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বলেন, আমরা অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকি। প্রায়ই এ রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। মসজিদে যেতেও আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তিনি দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানান।
পুরাতন লক্ষণশ্রী গ্রামের বাসিন্দা নিহার রঞ্জন দাস (টিপু) বলেন, রাস্তাটি অনেক খারাপ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ না করলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়