আজ পহেলা রমজান। মুসলিম জাহানের বরকতের মাসের শুরু। এই মাস সংযমের মাস। এই সংযম কেবল মনের নয়, শরীরেরও। হস্ত, চক্ষু, কর্ণ, নাসা, জিহ্বা, ত্বকেরও সংযম করবেন বিশ্বজুড়ে মুসলমানগণ। এই জন্য এই মাস নিরবচ্ছিন্ন শান্তির মাস।
সৌদি আরবে এই মাসে ব্যবহার্য পণ্যের মূল্য ব্যবসায়ীরা কমিয়ে দেন। যাতে রোজাদারদেরকে কোনওরূপ আর্থনীতিক কষ্ট স্পর্শ করতে না পারে। সে-দেশে ব্যবসায়ীরা রমজানের মাসে লাভের জন্য ব্যবসা করেন না। লাভ বাদে পণ্যের যে-মূল্য হয়, সে-পরিমাণ থেকেও কম দামে পণ্য বিক্রি করেন। অর্থাৎ এক কথায় রোজাদারের ব্যবহার্য পণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের দেশে অবস্থা একেবারে তার উল্টো। প্রতিবছর এখানে এই মাসে মুসমিরা যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন সেসব সামগ্রীর বাজার মূল্য বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের পরও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রমের প্রভাবে সে-সব দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।
পুঁজিবাদী আর্থব্যবস্থার এটাই নিয়ম। এর কোনও ব্যতিক্রম হয় না। পুঁজি ধর্ম মানে না। তার চাই লাভ। যে-কোনও বিপর্যয়ের সময় পুঁজির মালিকারা সব সময়ই আরও লাভের জন্য যেমন বেশি করে তৎপর হয়ে উঠে তেমনি করে প্রতি রমজান মাসেও সে-তৎপরতা তারা অব্যাহত রাখে। এ দেশে এর কোনও ব্যতিক্রম হয় না। তারপরও ব্যবসায়ীদের প্রতি আবেদন রইল : তাঁরা যেনো অন্তত রমজানে ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেশি লাভের আশায় বাড়িয়ে না দেন। রমজানের এক মাসে বেশি লাভ নাই বা করলেন।
রমজান শুভ হোক, সুন্দর হোক।