1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বিশেষ দূত এরশাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবি’র

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিশেষ দূত হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার দায়িত্ব থাকলেও তিনি তা পালন করেননি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার টিআইবি কার্যালয়ে ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ দশম জাতীয় সংসদ চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৭)’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যানকে (এরশাদ) ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তার এই নিয়োগের সরকারি কোনও গেজেট প্রকাশ হয়নি এবং কোনও দাফতরিক নির্দেশনাও পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, বিশেষ দূত হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল আধুনিক মুসলিমপ্রধান গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্য বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়া। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানির বাজার প্রসারে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করা।
দায়িত্বকালীন সময়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ (চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভুটান) সফর করলেও বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালনে ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের অনিয়মিত সদস্যদের তালিকাতেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম অন্যতম বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে তিনি সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা খুব একটা না করলেও বাইরে বিশেষ করে দলীয় প্ল্যাটফর্মে কঠোর সমালোচনা করেন। এই সমালোচনা কতটুকু বাস্তব আর রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য সেটাও প্রশ্নের বিষয়।
টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দশম জাতীয় সংসদের মোট ১৮টি অধিবেশনের ৩২৭ কার্যদিবসে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত উপস্থিত ছিলেন ৭৯ কার্যদিবস। তার উপস্থিতি শতকরা ২৪ ভাগ। তিনি সংসদে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করেননি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণাটি উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদা আক্তার, নিহার রঞ্জন রায় ও অ্যাসিসট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিত সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com