স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ২নং রঙ্গারচর ইউনিয়নে বিসিআইসি’র সার ডিলার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বিসিআইসি’র ডিলার নিয়োগ অবশ্যই ইউনিয়নের নাগরিকদের মধ্য থেকে হওয়ার কথা থাকলেও এ ইউনিয়নে ব্যতিক্রম। নীতিমালা না মেনেই জেলা শহরের মেসার্স শশাঙ্ক পালকে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ইউনিয়নে ডিলারের কোনো নিজস্ব দোকান না থাকায় শহরে গিয়ে সার কিনতে হচ্ছে রঙ্গারচর ইউনিয়নের কৃষকদের। এতে তাদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন-নিবেদন করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা।
কৃষক আক্কাছ আলী বলেন, ইউনিয়নে সার ডিলার না থাকায় আমরা সুনামগঞ্জ থেকে গিয়ে প্রতি বস্তা সার একশ দেড়শ টাকা ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর কিনে থাকি। পরিশ্রম তো আছেই। সারের জন্য আমরা এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। আমাদের কষ্টের সীমা নেই। কৃষি নির্ভরশীল ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে সার ডিলার নিয়োগ আমাদের প্রাণের দাবি।
কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, সারের কথা কইতে গেলে আমাদের জমিজমা চাষাবাদের কষ্টটা আরো বাইড়া যায়। পরতেক বছর সারের লাগি শহরে যাইতে হয়। বাড়তি পয়সা দিয়া সার কিনে আনতে হয়।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের আসকর আলীসহ ৩০/৩৫ জন কৃষক সদর উপজেলা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সুফল তারা পাননি।
রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই বলেন, আমার ইউনিয়নে বিসিআইসি’র সার ডিলার নিয়োগের জন্য সমন্বয় সভায় পর্যন্ত আমি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কোন ফল পাইনি। সারের জন্য আমার ইউনিয়নের কৃষকরা সীমাহীন দুর্ভোগ মোকাবেলা করে আসছেন। আমার দাবি, অবিলম্বে ইউনিয়নে সার ডিলার নিয়োগ দেয়া হোক।
ডিলার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা হয় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিন টিপুর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, শহরের ষোলঘর নিবাসী মেসার্স শশাঙ্ক পালকে ইউনিয়নের সার ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। শশাঙ্ক পাল মারা যাওয়ায় এখন তার পুত্র ইউনিয়নের আদারবাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দোকানের চুক্তিনামা সম্পাদনক্রমে আমাকে দেখানোর জন্য পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে শশাঙ্ক পালের লাইসেন্স বাতিল করে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে একজনকে ডিলার নিয়োগক্রমে লাইসেন্স দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শশাঙ্ক পাল ইউনিয়নের বাসিন্দা না হয়েও অনেক আগেই ডিলারশিপ পেয়েছিলেন। এবারে তার পক্ষে ইউনিয়নে সারের দোকান করতে না পারলে অবশ্যই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা একজনকে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে।