1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

গ্রামপুলিশ সদস্যের বেতন বন্ধ : জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে ভিক্ষাবৃত্তিতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রতিহিংসার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত এক গ্রামপুলিশের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখায় তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করে ভিক্ষাবৃত্তিতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এর আগে তার বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি পাওয়া হতদরিদ্র গ্রামপুলিশ মো. সহিবুর রহমান সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদনে কাঠইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা শামছুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন। অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাতকৃত মালামাল পাহারা না দেয়ায় চেয়ারম্যান তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বেতন আটকে দিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগে প্রতিবন্ধী গ্রামপুলিশ উল্লেখ করেছেন।
গত ৩ মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিলকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিবন্ধী সংগঠনের সুপারিশে কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামপুলিশের চাকরি নেন এলাকার মো. সহিবুর রহমান। তাকে নিয়োগ দিতে কালক্ষেপণ করায় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ লাভ করেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। এরপর থেকেই পরিষদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সহিবুর। এতদিন তিনি নিয়মিত বেতন পেলেও গত চার মাস ধরে তার বেতন আটকে রাখা হয়েছে। একই ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ শিপন দাসের বেতন গত মাসে দেওয়া হলেও তার বেতন কোন কারণ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে গত বছর এই ইউনিয়নের ১০৯৪ জনকে সরকার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে সহায়তা দিয়ে আসছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নামে-বেনামে তালিকা করে প্রতি কিস্তির ১০০-১৫০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে সেই চাল প্রহরা দিতে তাকে জোর করছেন। তিনি অস্বীকার করায় তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তার বেতন আটকে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী তার বকেয়া বেতন পরিশোধ করে তাকে গ্রামপুলিশের চাকরি থেকে বিদায় দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি এখন থেকে তিনি প্রতিবন্ধী হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন পরিচালনা করবেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা শামছুল ইসলাম বলেন, গ্রামপুলিশের সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। কয়েক মাস পরপর তাদের বেতন হয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com