1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধান কাটার যান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে

  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, হাওরে পাকা ধান ক্ষেতের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এবং পাকা ধান ক্ষেতের মধ্যে থাকার অর্থ এ ধান প্রকৃতিগতভাবেই অরক্ষিত। সমস্যার মূল কারণ, হাওরে ধান কাটার শ্রমিক পওয়া যাচ্ছে না। ধান কাটা যতো বিলম্বিত হবে ফসলহানির সম্ভাবনা ততোই বাড়বে। অকাল বন্যা, শিলাবৃষ্টি এই দুইটি বিপদ যে কোনও মুহূর্তে আবির্ভূত হতে পারে মূর্তিমান যমদূতের মতো। হাওরে এ কোনও নতুন সমস্যা নয়, বলা যায়, বেশ পুরনো। সাম্প্রতিক বছরগুলোরও আগে থেকেই এরকম সমস্যা হাওরে লেগেই আছে। আর যতো দিন যাচ্ছে ততোই সে-সমস্যা কেবল বাড়ছে। গত বিপর্যয়ের বছরেও কৃষকরা ধান কটার শ্রমিকের অভাবে পড়েছিলেন। ধান কটার লোকের অভাবে পাকা ধান পানির তলে তলিয়ে গিয়েছিল। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
অতীতে ধান কাটার শ্রমিকের সমস্যাটি এতোটা প্রকট ছিল না। বোরো মৌসুমে ফসল কাটার শ্রমিকের আগমন ঘটতো বাইরের জেলাগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। তারা এক একজন ‘বেপারি’র অধীনে আসতো দলে দলে, ‘মাজন’-এর বাড়িতে। এখন আর একবারেই আসে না। ফলে ধান কাটার শ্রমিকের অভাব দেখা দেয় প্রতি বছর, আগের বছরের চেয়ে তীব্র আকারে। কিন্তু মাথার উপর ঝুলে থাকা এই সমস্যা নিরসনের কোনও প্রস্তুতি নেই কৃষকের। প্রতি বছর এই সমস্যাটিকে ঘাড়ে নিয়েই কৃষক ক্ষেতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেন এবং প্রকৃতপ্রস্তাবে ফলন্ত বোরো ফসল প্রতি বছর সম্ভাব্য একটি অরক্ষিত অবস্থার দিকে অগ্রসর হয়। কৃষকের এই দুরবস্থার কথা কৃষক যেমন জানেন তেমনি জানেন সরকারও। সর্বজনের জানা এই সমস্যার কোনও জুতসই সমাধান বের করা সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে অন্তত তাই মনে হচ্ছে।
গতকালের ‘দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, “হাওরে ধান কাটায় শ্রমিক পাঠানোর প্রশাসনিক নির্দেশনা : নির্দেশ মানছে না বালু-পাথর মহালের ইজারাদাররা’। এরকম আপতকালীন নির্দেশ সাধারণ বিবেচনায় যুক্তিসঙ্গত বটে এবং এরকম বিপন্ন পরিস্থিতিতে আদেশ মান্য করাও যে-কারও পক্ষে নাগরিক কর্তব্য। কিন্তু দেখাই যাচ্ছে, আদেশটি অবহেলিত হওয়ায় সমস্যাটি সমাধানের বাইরেই পড়ে থাকছে। এবং এসমস্যাটি নিরসন না হওয়ার কারণে ফসলহানি ঘটলে অচিরেই দেশের সকল মানুষের সঙ্গে এই বালু-পাথর শ্রমিকরাও খাদ্যসংকটের সম্মুখীন হবেন। সেটাও একটি জানা কথা। সে অনিবার্য সংকটের হাত থেকে রক্ষা পেতেই শ্রমিকদের অন্তত ক’দিনের জন্য বালু-পাথর টানার কাজ বাদ দিয়ে ধান কাটার কাজে লাগা উচিত এবং ইজারাদারদেরও সে কাজে সহায়তা সব দিক থেকেই সঙ্গত।
কিন্তু মনে রাখতে হবে এরকম একটি আপাত সমাধান চিরদিনের সমাধান হতে পারে না। প্রতি বছর এভাবে শ্রমিকের অভাবে ক্ষেতের পাকা ধান ক্ষেতে পড়ে থাকবে অকাল বন্যা ও শিলাপাতের অপেক্ষায় এমন হতে পারে না। এ জন্য চাই যান্ত্রিক উপায়ে ধান কাটার যথাযথ ব্যবস্থা। এর কোনও বিকল্প নেই। তাই ভুলে গেলে চলবে না, ক্ষেতে বোরো ফসল লাগানোর আগে ধান কাটার যান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com