স্টাফ রিপোর্টার ::
ছাতক পৌর শহরে ঘরের মধ্যে স্ত্রী’র শরীরে আগুন দিয়ে তাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান প্রধান আসামি নিহতের স্বামী আবুল মনসুর লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারী (ছাতক জোন) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শেষে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিটন দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর উক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ছাতক পৌর শহরের দক্ষিণ বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল আবুল মনসুর লিটনের সঙ্গে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালি ইউনিয়নের বিছনা গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে ইস্পা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইস্পার প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে আবুল মনসুরের বড় ভাই আব্দুস সহিদের। বিষয়টি ইস্পা তার স্বামী ও পরিবারকে অবহিত করে। কিন্তু স্বামী লিটন তার কথা অবিশ্বাস করে উল্টো ইস্পার সঙ্গে বিরূপ আচরণ করতে থাকেন। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ৬ মে সকালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইস্পার স্বামী আবুল মনসুর লিটন ও তার ভাই আব্দুস সহিদ বাপন মিলে ইস্পাকে মারধর করে। এর জের ধরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুইভাই মিলে ইস্পার শরীরে অ্যাসিড ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে। পরে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে তারা।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ভাই রাসেল আহমদ বাদী হয়ে ইস্পার স্বামী লিটন ও ভাসুর আব্দুস সহিদ বাপনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় লিটন জেলহাজতে থাকলেও ভাসুর আব্দুস সহিদ বাপন এখনো পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান বলেন, ইস্পা হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতির জন্যে আদালতে মামলার প্রধান আসামি আবুল মনসুর লিটনের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। বিজ্ঞ আদালত শুনানি অন্তে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইস্পা হত্যা মামলার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।