1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

৭ই মার্চ, স্বাধীনতা, বিজয় ও নতুন দিনের গান : মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

বঙ্গবন্ধু একটি চেতনা, একটি মানচিত্র, বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। এই চেতনার কখনও মৃত্যু হতে পারে না, তাই এই মানচিত্রও বিলীন হবার নয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানেরও কখনো মৃত্যু হবার নয়। তিনি জীবিত আছেন কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে।
বঙ্গবন্ধু অমর তাঁর আদর্শের মধ্যে এবং পলিটিক্যাল স্কুল অফ থটের মধ্যে। যতদিন তাঁর স্কুলটি টিকে থাকবে বাঙালি জাতিসত্ত্বা ও বাংলাদেশ নামক মানচিত্রটিও বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বল করবে।
‘আজ থেকে অনেক দিন পরে হয়তো কোনো পিতা তার শিশু পুত্রকে বলবেন জানো খোকা, আমাদের দেশে এমন একজন মানুষ জন্ম নিয়েছিল যার দৃঢ়তা ছিল, তেজ ছিল… মানুষটির হৃদয় ছিল, ভালোবাসতে জানতেন। দিবসের উজ্জ্বল সূর্যালোকে যে বস্তু চিকচিক করে জ্বলে তা হলো মানুষটির সাহস। আর জ্যোস্নারাতে রূপোলি কিরণ ধারায় মায়ের স্নেহের মতো যেবস্তু আমাদের অন্তরে শান্তি এবং নিশ্চয়তা বোধ জাগিয়ে তোলে তা হলো তার ভালবাসা। জানো খোকা তার নাম? শেখ মুজিবুর রহমান।’ – বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা সাংবাদিক আহমদ ছফা’র বইয়ের কয়েকটি লাইন ।
বাঙালির স্বাধীনতায় তৎকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রজ্ঞার অন্তর্দৃষ্টিমূলক বিশ্লেষণ খুবই অর্থবহ। এটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও শাসনব্যবস্থা অধ্যয়নে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নাগরিক রাজনৈতিক সচেতনতা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক বাস্তবতা ছিল দিবালোকের মত এবং ইতিহাসে ¯পষ্টভাবে বিবৃত। তাই এটি পরে আলোচনা করি। প্রথমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের অসাধারণ প্রাজ্ঞতার কয়েকটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ টানা যাক।
ডেভিড ফসটার ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর একটি অন্তর্দৃষ্টিমূলক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ফসটার জানতে চান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাত্রিতে (২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে) যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, সেটা এড়াতে তিনি চেষ্টা করলেন না কেন? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, গ্রেফতার হলে আর ফিরে আসবেন এটা তিনি ভাবেননি। গ্রেফতারকেই শ্রেয় মনে করেছেন এই কারণে যে পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে বাঙালি জাতির অসম্মান জড়িত ছিল। তাছাড়া পালিয়ে গেলেও এই ঝুঁকি ছিল যে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা তাকে খোঁজে বের করে হত্যা করত এবং এর কালিমা বাঙালি জাতির উপর চাপিয়ে দিত এই বলে যে প্রতিবিপ্লবী বাঙালিরা বিচ্ছন্নতাবাদী নেতা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে।
অধিকন্তু, তিনি লক্ষ্যমুখী দৃষ্টি নিবদ্ধিত রাখতেন ও ঘটনা প্রবাহ স¤পর্কে অবহিত থাকতেন। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের স্বার্থে শত্রুর সাথেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। যেমন, ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ পাকিস্তানের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রধান আবদুল ওয়ালি খান সকালে ইয়াহিয়ার সঙ্গে দেখা করে জিজ্ঞেস করেন, কী তার সর্বশেষ অবস্থা? ইয়াহিয়া বলেন, ‘আমি যেখানে এসে দাঁড়িয়ে গেছি, সেখান থেকে বেরোতে হলে, আই হ্যাভ টু শুট মাই ওয়ে থ্রু।’ তিনি খবরটা শেখ সাহেবকে দেওয়া দরকার মনে করে যান শেখ মুজিবের কাছে এবং তাঁকে বলেন ‘জানেন, ইয়াহিয়া কী করতে পারে?’ জবাবে শেখ সাহেব বললেন, ‘হি উইল হ্যাভ টু শুট হিজ ওয়ে থ্রু।’
তাঁর নেতৃত্বের প্রাজ্ঞতার আর একটি উদাহরণ হল যে তিনি বিচ্ছন্নতাবাদী হিসেবে বাঙালি জাতিকে তাড়িত করেননি। উত্তাল মার্চে আশঙ্কাজনক পর্যাপ্ত তথ্য ও গতি প্রবাহ থাকা সত্বেও, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, অর্থাৎ আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করেছেন, এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বা চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন শেষ মুহূর্তে গ্রেফতারের প্রাক্কালে (২৬মার্চের প্রথম প্রহরে)। তবে তিনি আগে থেকেই বাঙালি জাতিকে এবং এর সকল সশস্ত্র বাহিনীকে মনের ভেতর থেকে অনুপ্রাণিত করে রেখেছিলেন যে যুদ্ধ যখন অনিবার্য জীবন দিয়ে হলেও তার মোকাবেলা করার জন্য যা অন্তর্নিহিত আছে বাঙালির হৃদয়ে তাঁর প্রতি অগাদ আস্থা প্রতিষ্ঠার মাঝে এবং ¯পষ্টভাবে বিবৃত আছে ৭ই মার্চের মুক্তির সনদে, তাঁর কালজয়ী সম্মোহনি ভাষণে।
এবার আসা যাক বাস্তবতায়। এটা এরকম যে ১৯৪০ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মসুলমান অঞ্চলের এলাকাগুলো নিয়ে একাধিক রাষ্ট্র গঠনের কথা থাকলেও ১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল দিল্লীতে মুসলিম লীগের দলীয় আইন সভার সদস্যদের কনভেনশনে কায়েদা আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নীতিবহির্ভূতভাবে লাহোর প্রস্তাব সংশোধনের মাধ্যমে একটি মাত্র রাষ্ট্র পাকিস্তান জন্ম হবে বলে ঘোষণা করেন। সংশোধিত প্রস্তাবেও পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি বহাল ছিল। বাস্তবে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন তো দূরের কথা, একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে স¤পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
জিন্নাহর আচরণে ক্রমেই স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। পাকিস্তানে জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বাংলা ভাষায় কথা বললেও পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে বাঙালি প্রতিনিধিত্ব ছিল খুবই কম। উল্টো পূর্ব পাকিস্তানে প্রায় শতভাগ লোকের ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও সেখানেও রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন দিতে বার বার অনীহা প্রকাশ করা হয়। অন্যায়ভাবে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নিবার্চন বাতিল করা হয় এবং ১৯৫৮ সাল থেকে প্রকাশ্য সামরিক শাসন জারি করা হয়, যা অব্যাহত থাকে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্মের পূর্ব পর্যন্ত। পাকিস্তান জন্মের পর থেকে বাঙালির স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত ২৪ বছরব্যাপী চলতে থাকে অপরিমেয় দুনীর্তি ও স্বজনপ্রীতি এবং বাঙালির প্রতি বৈষম্য, শোষণ ও নিপীড়ন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে প্রশাসনিক, সামরিক, অথনৈতিক, শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রে এবং বিশেষভাবে রাজনৈতিক অনাচার ও বৈষম্য ছিল সীমাহীন।
এপ্রেক্ষিতে পূর্বাঞ্চলের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্রমাগতভাবে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেন। তাঁর দূরদর্শী, সাহসী ও অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৫৮এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ও ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন থেকে ৬৯ সালে বিশাল গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু অবিসংবাদিতভাবে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা নির্বাচিত হন।
নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে টালবাহানা করা পূর্ব বাংলার জনগণ মেনে নিতে পারেনি। তারা ভিতর থেকে মুক্তির তাড়না অনুভব করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনার প্রতীক্ষা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা, ভালবাসা ও বিশ্বাস ছিল অগাদ। তাঁর বলিষ্ঠ ও সম্মোহনী নেতৃত্বে মানুষ এতটাই অনুপ্রাণিত ছিল যে তিনি চাইলে লাখ লাখ মানুষ দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় পরিষদের নির্ধারিত অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাবার পর বাঙালিদের অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ৩রা মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে আসার পরিবর্তে সামরিক বাহিনীর লোক ও অস্ত্রশস্ত্র বহন করার কাজে পাকিস্তান বিমানগুলোর নিয়োজিত থাকা নিয়ে সামান্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পরপরই বাঙালি সেনারা কয়েকবার শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করে মুক্তিসংগ্রামের নির্দেশ চেয়েছেন।
সামরিক বিশ্লেকদের মধ্যে যারা ৩রা মার্চ বা ৭ই মার্চই স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা না দেয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেন, তারাও স্বীকার করেন শেখ মুজিবুর রহমান এতটাই মানুষের আস্থাভাজন নেতা ছিলেন যে তিনি ৭ই মার্চ উপস্থিত রেসকোর্স ময়দানে জনসমুদ্রকে নির্দেশ দিলে হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে হলেও ঢাকা সেনানিবাস দখল করা সম্ভব হত। এর বাইরে যারা সমালোচনা করেন তারা নিচ, হীন, মূর্খ, সীমাহীন ঔদ্ধত্য এবং সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থান্যাসী ইতিহাস বিকৃতিকারী গোষ্ঠী।
বাংলার মানুষের অগাদ আস্থা বঙ্গবন্ধুকে আরও দায়িত্বশীল করে তোলেন। যদিও কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের দূরদর্শীতা ও প্রাজ্ঞতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, সব সামরিক বিশ্লেষকের পক্ষে এটা বুঝা সম্ভব নয় যে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণমানুষের এবং বাংলার মুক্তির অবিসংবাদিত সংগ্রামী নেতা। পাকিস্তানের শেকল ভাঙতেই ছিল তাঁর সারা জীবনের সংগ্রাম। তবে অনিবার্য না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেটা করতে চেয়েছিলেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়। একই সঙ্গে তিনি রাজনৈতিকভাবে মুক্তির শেষ বিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা করেন এবং বাংলার জনগণকে বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা দেন ও বিপর্যয় অনিবার্য হলে মোকাবেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলেন।
তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণই হল বাঙালির মুক্তির ও স্বাধীনতার সনদ। বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং কালজয়ী রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা। “…আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, …প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশা-আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।”
গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত জাতিসংঘের ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা। মূলত অসাধারণ আন্তর্জাতিক তাৎপর্য রয়েছে এমন বিষয়গুলোকে বিশ্ব আন্তর্জাতিক রেজিস্টারের মেমোরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ‘ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি’ বাঙালি জাতির জন্য নিঃসন্দেহাতীতভাবে অনেক গর্বের বিষয়। পাশাপাশি ড. জাফর ইকবালের কথা খুবই প্রাসঙ্গিক, সময়োপযোগী ও প্রাজ্ঞ। ১৮ নভেম্বর ২০১৭ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কোও সম্মানিত হয়েছেন, তারাও দাবি করতে পারবেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণটি তাদের কাছে আছে। জাফর ইকবাল আরও বলেন যে, পৃথিবীতে অনেক সুন্দর সুন্দর বক্তব্য আছে। কিন্তু সেগুলো লিখিত। লিখে নিয়ে এসে এসব বলে গেছেন বক্তারা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ ছিল অলিখিত। অবশ্যই এটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ এবং ইতিহাসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দলিল। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণতায়, ৭ই মার্চের অনুপ্রেরণায় এবং তাঁর মহান নেতৃত্বে বাঙালি হেঁটে গেছে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ও ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের সূর্য দীঘল পথে। বিজয়েরদিনে আজ আমাদের প্রতিশ্রুতি হোক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে, তাঁর যাপিত জীবন ও রাজনৈতিক আদর্শ থেকে শিক্ষা নেয়া এবং তাঁর মহান ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টাকারীদের প্রতিহত করা। আরও প্রতিশ্রুতি হোক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে এবং শোষণহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলা।
বুকে জ্বেলেছি প্রদীপ, এক হাতে রণতুর্য অন্য হাতে কলম।
করি অন্যায়-অবিচার মিথ্যে পদতল, আয়রে আয় অরুণ পথের তরুণ দল।
আলো জ্বালাবো মোরা সমাজে, বিজয়ের মাসে করি এই পণ।
[লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এবং আহ্বায়ক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা।]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com