ডিজিটাল যুগ। সবকিছুই এখন সহজ। শেষ বয়স। সারা জীবন প্রচুর কামিয়েছেন। হাতে টাকা-পয়সার অভাব নেই। মনে মনে একটু নাম-ধাম করার বাসনা। কুচ পরোয়া নেহী! দুয়েকজন মনীষীর কথা মুখস্ত করে আয়নার সামনে বক্তৃতা দেওয়া শুরু করুন। দেখতে দেখতে ভাল বক্তা হয়ে যাবেন। তারপর একজন চামচা যোগাড় করে পাড়ার অনুষ্ঠানে চামচাকে দিয়ে পাড়ার বাবাজীদের কাছে খবর পাঠিয়ে দিন। পাড়ার সভায় যা পারবেন না তাও বলুন। তারপর শহরের সভা-সমিতিতে যেতে থাকুন ও মোটা চাঁদা দিতে থাকুন দেখবেন আপনার কদর কত বাড়ে। এতেও মন ভরছে না। বুদ্ধিজীবী হতে চান? চেহারাটাও একটু পাল্টাতে হবে। প্রথমে আপনি, সিলেট আড়ংয়ে যান। সেখান থেকে ছাপ্পাওয়ালা ৩-৪ টি পাঞ্জাবী কিনে চোখের চশমা বদলিয়ে একটু মোটা ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে একটু গম্ভীর গম্ভীর ভাব দেখান। কথা বলুন চিবিয়ে চিবিয়ে। হয়ে গেলেন হাফ বয়েল ডিমের মতো হাফ বুদ্ধিজীবী। আরোও নাম ধাপ এগিয়ে যান, একখানা মোটা সাইজের বই লিখে ফেলুন। আপনি ভাবছেন, আমাকে বোমা মারলেও বই লেখা হবে না। কোহি বাত নেহি! ৮/১০ হাজার টাকা বেতনে একজন লেখককে নিয়োগ দিন। ৫০/৬০ খানা বই যে বিষয়ে বই লিখবেন, সে বিষয়ের উপর যোগাড় করে প্রত্যেক বই থেকে ১/২ পাতা নিয়ে ছাপিয়ে হয়ে যান বুদ্ধিজীবী, গবেষক, লেখক। এতো ঝামেলায় যেতে যদি না পারেন তবে কোন লেখকের পা-ুলিপি ধার করে এনে নিজের নামে ছাপিয়ে দিন। আজ এখানেই শেষ করছি।
[লেখাটি কারো সাথে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত, কাকতাল মাত্র]