শাল্লা প্রতিনিধি ::
গত ৩০ মার্চ উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাল্লায় আ.লীগের গ্রুপিংয়ের অবসান হলেও তা আবার দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে উপজেলার আ.লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দিরাই-শাল্লা আসনের এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা। এ সময় এমপি’র সামনেই দ্বিধা-বিভক্ত নেতাকর্মীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মহিম চন্দ্র দাস। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী।
সভায় উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সত্তার মিয়া জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। আ.লীগ নেতা অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাসও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সোলার সিস্টেম, ল্যাম্পপোস্ট, ত্রাণ বিতরণ বিষয়ে নানা অনিয়ম ও টিআর-কাবিটা এবং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সৌর বিদ্যুতের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। এতেই অবনী মোহন দাস ও আল আমিন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি’র হস্তক্ষেপে তখন পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সভায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরীর বক্তব্যেও উত্তেজনা সৃষ্টির এক পর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম। তখন ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি দাঁড়িয়ে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি ছিলাম সাধারণ একজন গৃহবধূ। আপনারাই আমাকে শূন্য আসনে বসিয়ে এমপি বানিয়েছেন। এখন আবার ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছেন কেন?’ পরে আবারো পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সভার শুরুতেই প্রয়াত হবিবপুর ইউপি’র আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত কৌশিক চন্দ্র দাস স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় উপজেলা আ.লীগের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল।