সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা তথ্য নিয়ে লুকোচুরি করছেন। একজন গণমাধ্যমকর্মী সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে প্রায় সাত কার্যদিবসে তথ্যের জন্য গিয়ে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি। চলতি অর্থ বছরের এডিবি’র বরাদ্দ ও প্রকল্প তালিকা চাইলে নানা টালবাহানা করেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন তথ্য না দিয়ে ওয়েবসাইটে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দেন। একজন গণমাধ্যমকর্মীর দায়িত্ব সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দের খবরা-খবর জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। যখন সংশ্লিষ্টরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চাননি, তখন তো এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হবেই। এ বিষয়ে সুনামকণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জ জেলার ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এডিবি’র প্রকল্প বিষয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকর্মী তথ্য চাইলেও রহস্যজনক কারণে তারা শুরু থেকেই তথ্য দিতে গড়িমসি শুরু করেন। মাঠপর্যায়ে এই প্রকল্পগুলোর প্রাক্কলন তৈরি ও দেখভাল করে থাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। অভিযোগ রয়েছে কিছু ঠিকাদার, পিআইসি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আঁতাত করে তারা কৌশলে তুলনামূলক ‘ভালোস্থানে’ প্রকল্প তৈরি করে বরাদ্দ নয়ছয় করে। অনেক সময় একই স্থানে একাধিক প্রকল্প তৈরি করেও তারা বরাদ্দ লোপাটের চেষ্টা করে। গত অর্থ বছরে এভাবে বেশ কয়েকটি ‘মারিং-কাটিং’ প্রকল্পের খোঁজ পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক। এক্ষেত্রে বলা বাহুল্য হবে না, অনিয়ম ঢেকে রাখতেই তথ্য দিতে লুকোচুরি করা হচ্ছে।
তথ্য জনগণকে সমৃদ্ধ করে আর জনগণ তথ্যপ্রাপ্ত হয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। ফলে একদিকে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তথ্য আইনে তথ্য প্রদানে বাধ্য কর্তৃপক্ষ হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকা- স¤পর্কিত তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ ও প্রদান করতে বাধ্য। কিন্তু সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দৃষ্টি দেয়া উচিত। আমরা আশা করবো, তথ্য নিয়ে লুকোচুরি বন্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হোক এটাই কাম্য।