সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আলোচিত ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এবং ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছাত্র সমাজ রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের মাজার গেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। তারা সামনে এগুতে চাইলে পুলিশ জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
পুলিশি বাধার মুখে হাইকোর্টের মাজার গেট পার হতে না পেরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্ররা। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী ব্যারিকেড ভাঙলে পুলিশ তাকেসহ দুজনকে আটক করে। কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে লিটন নন্দীকে ও আল আমিন হোসেন জয়, উদীচীর আরিফুরসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্ট একটি সংরক্ষিত এলাকা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ। তারা হাইকোর্টের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইছিল। আমরা তাদের সকাল থেকে ঠেকানোর করার চেষ্টা করছি। দফায় দফায় কথা বলেছি। তারা রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে মাজারগেটের প্রধান সড়কের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, শনিবার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়।
গত নভেম্বরে ভাস্কর্যটি স্থাপন করার পর থেকেই ধর্মভিত্তিক একটি গোষ্ঠী আন্দোলন করে আসছে। এদিকে, ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে রাতেই বিক্ষোভ করে গণজাগরণ মঞ্চসহ প্রগতিশীল কয়েকটি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভাস্কর মৃণাল হকের তত্ত্বাবধানে মোট ২০ জন শ্রমিক ভাস্কর্যটির ভিত ভাঙার কাজ শুরু করেন। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর রাতে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়।