আগেই বলেছি বিদ্যার দৌড় কম। অজস্র বানান ভুল। আমার লিখা যারা পড়বেন তারা আমারই মতো। এই জন্য আমি বহুবার বুদ্ধিজীবী পাঠকদের আমার লেখা না পড়ার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করেছি। আমি আমার নিজস্ব স্টাইলে যাই লিখে থাকি তা সাধারণত এন্টাসিড ছাড়া হজম করতে পারেন এরকম মানুষদের জন্যই আমি লিখে থাকি। পাছে লোকে কিছু বলে সেই ভয়ে ভীত আমি নই। যখন যা মনে আসে তাই আমার পাঠকদের জন্য লিখে থাকি এবং মোটামুটি আমার পাঠকরা সাগ্রহে গ্রহণও করে থাকেন।
যারা পাছে লোকে কিছু বলার ভয়ে থেমে থাকে, আমি সেই দলের লোক নই। জানার শেষ নেই, তাই এতো জানাজানি আমার দরকার নেই। বারিক্কা টিলা, টাঙ্গুয়ার হাওর আমি দেখিনি দায়ে পড়ে কাঙলার হাওর আর মুক্তিযুদ্ধের সময় বারিক্কা টিলার মতো শতশত টিলা আমি দেখেছি।
গাঁটের পয়সা খরচ করে রেল আর গাড়িতে শত মাইল দূরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আমি দেখিনি। অনেকে বলেন, এটা নাকি আমার অলসতা। বিনাপয়সায় আমি যেখানে জেদ্দায় সিপোর্টে থেকেছি, ইংল্যান্ডের সিপোর্টগুলো বিনাপয়সায় শালা-শালিদের কাঁধে ভর করে দেখেছি সেখানে আবার নতুন করে গিয়ে ঝামেলা বাধানোর দরকার কি? গাঁটের পয়সা খরচ অযথা পণ্ডশ্রম।
আমার অর্ধ শিক্ষিত পাঠক বন্ধুরা, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত’। ‘এ পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণকর অর্ধেক করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর।’ এগুলো আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আমরা বিগত ছাব্বিশ বছর যাবৎ আমাদের শাসন ক্ষমতা আমাদের বোনদের হাতে তুলে দিয়েছি। স্পিকার-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী দলীয় নেত্রী সবাইকে মেনে নিয়েছি। বড়বড় আমলা আজ নারী। প্রায় চল্লিশ জন নারীনেত্রীকে বিনাভোটে সাংসদও নির্বাচিত করেছি আমরা। এক তৃতীয়াংশ মামলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হচ্ছে। যদিও আমার সাহস হচ্ছে না তবুও আমাদের কিছু সাহসী পুরুষ বন্ধুরা পুরুষ নির্যাতন আইন করার দাবি তুলেছেন। ইদানীং কিছুকিছু নারীবাদী নেত্রী সাথে যোগ দেওয়া আমাদের তসলিমা নাসরিন যে অকথ্য ভাষায় পুরুষদের সমালোচনা শুরু করেছেন তা অন্যায়। তসলিমা নাসরিন একটি প্রশ্ন তুলেছেন নারীদের সাজগোজ নিয়ে। মাক্স, আই ব্লাউজ, আই লাইনার্স, আই শ্যাডো, বেস মেকআপ, কনসিলার, লিপগ্লস, লিপ লাইনার্স, লিপস্টিক, নেইল পলিশ এরকম সহ¯্র সামগ্রী আজ বাজারে কেনো? তার প্রশ্ন এসব কেনো মেয়েদের ব্যবহার করতে হবে? কেনো মেয়েদের আসল চেহারা আড়াল করতে হবে? কেনো বানাতে হবে নকল একটি মুখ, নকল চোখ, নকল ঠোঁট, নকল গাল?
এই প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে নিজেদের সত্যিকার চেহারা ঢেকে রাখে, কে এই হীনমন্যতাবোধটি জাগালো। তাই অজ¯্র প্রসাদন মেখে সেই মুখকে ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। ত্রুটিমুক্ত করলে তারা সুন্দরী হিসেবে আখ্যা পাবে এবং ভালো স্বামী পাবে।
আসুন ঘরের দরজা জানালাগুলো খুলে দেই ঘরে ঘরে অশান্তির বিষাক্ত হাওয়া বিতাড়িত করে নারী আর পুরুষের মিলনের সেতু বন্ধন রচনা করি আর নারী হয়ে যারা অবচেতন মনে নারীদের ক্ষতি করছেন, অশান্তি সৃষ্টি করছেন। আসুন তাদেরকে চিহ্নিত করি।
বি.দ্র. : আপনারা জি সিনেমা, স্টার জলসা, জি বাংলা দেখার সময় আমরা কোনো বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করবো না।