আমার নাম মতিউর রহমান। আমি যখন জন্মেছিলাম তখন এই শহর ও শহরতলীতে প্রায় দেড়-দু’শ মতিউর রহমান ছিল।
হাটে-ঘাটে-মাঠে মতিউর রহমান নামের জয়জয়কার ছিল। আমি যখন ভৈরবে ব্যবসা করি তখন বিভিন্ন আড়তদারদের মধ্যে দশ-পনেরো জনের নাম ছিল গোলাপ মিয়া। ভৈরব ও তার আশেপাশে প্রায় শ-দেড়েক গোলাপ মিয়া ছিলেন। তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। একেক এলাকায় একেকটি নাম জনপ্রিয়তা পেতো আর ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে এই নাম রাখতো।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির নাম মতিউর রহমান। আমার নাম মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান। আরেকজন আছেন আইনজীবী পীর মতিউর রহমান।
ঠিক এরকম মতিউর রহমানের অভাব নেই। মাঝেমাঝে কাকতালীয়ভাবে একজনের বাসার মিষ্টি বা অন্যান্য উপকরণ এক বাসার বদলে আরেক বাসায় সাধারণ পাবলিক ভুল করে দিয়ে যায়। আমি যে ফেসবুকে আছি সেখানেও নিজস্ব পরিচিতিতে আট-দশজন মতিউর রহমান আছে। তারাও নিজ খুশি মতো ফেসবুক ব্যবহার করে যাচ্ছে। যার যেমন খুশি চ্যাটিং-ফ্যাটিং, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার দিল্লির বাদশাহর মতো ব্যবহার করে যাচ্ছেন। তাদের ব্যবহার আর অপব্যবহারের ঠেলায় আমি ফেসবুকওয়ালা মতিউর রহমান দোষ না করেও দোষের ভাগী হচ্ছি। প্রিয় মতিউর রহমান সাহেবরা আপনাদের কাছে অধম মতিউর রহমানের আবেদন আপনারা একটু রয়ে-শয়ে চলুন, ভালো ফল পাবেন।