স্টাফ রিপোর্টার ::
চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে তাহিরপুর উপজেলার গঙ্গারূপি যাদুকাটা নদীতে পুণ্যস্নান সম্পন্ন করেছেন লাখো পুণ্যার্থী। পুতপবিত্র ও মাঙ্গলিক কামনার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ নিজেদের মনোবাসনা পূরণের জন্যও এসেছিলেন। সাধক শ্রী অদ্বৈত আচার্য্যরে প্রায় ৫শ বছর আগে প্রবর্তিত এই বারুণি স্নান এখন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
শনিবার তাহিরপুর উপজেলার রাজারগাও গ্রামের যাদুকাটা নদীতে রাত ১২টা ৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ড হতে রোববার সকাল ১১টা ১৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড পর্যন্ত তিথি অনুযায়ী স্নান সম্পন্ন হয়।
পুণ্য স্নানে আসা নারী পুরুষদের মধ্যে অনেক নারীকে দেখা গেল আমৃত্যু একসঙ্গে সুখে-দুখে থাকার লক্ষ্যে কাপড়ের আঁচল স্বামীর গামছার সঙ্গে বেঁধে একসঙ্গে ডুব দিতে। অনেক নারী পুত্র সন্তান লাভের আশায় নদীর তলদেশ থেকে মাটি এনে তীরে জড়ো করে রেখেছেন। পরবর্তীতে দেবতার আশির্বাদে পুত্র সন্তান লাভ হলে আবার নৈবেদ্য দিতে আসবেন। অনেকের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় সেই মাটি আবারও গঙ্গারূপী তীর্থনদীতে ফেলে যান। সঙ্গে নিয়ে আসা মানত উপকরণ বিলিয়ে দেন নদী তীরে। অনেকে ব্রাহ্মণের সঙ্গে এসে মন্ত্র পড়েন। তর্পণ করেন। পিতা-মাতা বা পূর্ব পুরুষের অস্থি বিসর্জন দেন।
বারুণি উৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, লাখো নারী পুরুষ পুণ্যস্নান সম্পন্ন করেছেন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ইতিহাস থেকে জানাযায়, প্রায় ৫০০ বছর আগে শুরু হওয়া ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে এই পুণ্যতীর্থের সূচনা করেন তাহিরপুরের নবগ্রামের শ্রী অদ্বৈত আচার্য্য গোরআনা মহাপ্রভু।